মাহমুদুল হাসান: ষ্মের খরতাপ রোদ শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। এ সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এ কারণে এ সময় প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি প্রয়োজন শরীরকে সতেজ রাখবে এমন তরল জাতীয় খাবার। কিছু গ্রীষ্মকালীন খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।
ডাবের পানি: শরীরে অ্যানার্জি বাড়িয়ে দেয় ডাবের পানি। শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি পিএইচ ব্যালান্সড ঠিক রাখে। এতে থাকা অ্যালকালাইন ক্ষুধা নিবারণ করে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বাড়তে দেয় না।
টাটকা ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের প্রথমভাগে ডাবের পানি খাওয়াই উত্তম সময়।
ঠান্ডা গ্রিন টি: আমরা সবাই জানি ওজন কমানোর উত্তম দাওয়াই গ্রিন টি। গরমে চা খেতে ভয় পাচ্ছেন? এক টুকরো বরফ গ্রিন-টিতে দিয়ে দিন। এতে থাকা ক্যাটাসিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা দূর করে।
সালাদ: সালাদে থাকা ফাইবার প্রাকৃতিকভাবে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। গরমে সালাদ খাওয়ার উত্তম সময়। এতে শরীর শীতল থাকবে। এতে কম ক্যালোরি থাকে, তাই পেট পুরে খেলেও বাড়বে না আপনার ওজন।
লেবু পানি: শরীরকে সারাদিন হাইড্রেট রাখতে পান করুন লেবুর পানি। এই পানীয় ওজন কমতেও বেশ সহায়ক। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, রয়েছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঠান্ডা পানিতে সামান্য চিনি বা গুড় ও লেবুর রস বরফসহ গুলিয়ে নিন। সকালের নাস্তার পর ও দুপুরের আগে খেয়ে নিন।
তরমুজ: গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজে অ্যামিনো অ্যাসিড আরজিনিন রয়েছে। এটি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
বাটার মিল্ক: এটি একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক পানীয়। শরীরকে শীতল রাখার পাশাপাশি খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে।
এছাড়াও এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ভুলবেন না। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখে।