তামিম আহমেদ: এখন বাংলাদেশের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস দেখা যায় সব বয়সের মানুষের মাঝে। পরিণত বয়স থেকে কিছু অভ্যাস তৈরি করতে পারলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে বহুলাংশেই।
শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।
জেনে নিন:
১. দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. রঙিন শাকসবজি আর ফলমূল নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। এসকল খাবারে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৩. মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ছোট ছোট প্লেটে অল্প করে খাবার নিতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।
৪. আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখায় এর ভূমিকা রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসও দূরে থাকবে।
৫. শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬. চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিন। তবে মাছ এবং উদ্ভিজ্জ চর্বিতে কোনো ক্ষতি নেই। ফাস্ট ফুড খাওয়া কমিয়ে দিন। ফাস্ট ফুড রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
৭. তেষ্টা পেলে পানি খান, সফট ড্রিংকস খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করুন। বাজারের সকল সফট ড্রিংকসে অতিরিক্ত সুগার ব্যবহার করা হয়।
৮. মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যেটা ডায়াবেটিসে পরিণত হতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
৯. নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস থাকাটা খুবই জরুরি। নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করলে দেহের উপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূর হবে।
১০. প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।
১১. নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।