আওয়ার ইসলাম: ফুটবল তারকা ওজিলের খেলা চলছিলো, গ্যালারী থেকে এক টুকরো রুটি ছুড়ে মারা হয় তার দিকে। জার্মান মিডফিল্ডারের কাণ্ডে অবাক হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব।
পায়ের সামনে থাকা রুটির টুকরোটি হাতে তুলে নিয়ে চুমু খান। এর পর কপাল ছুঁয়ে পাশে সরিয়ে রাখেন।
ম্যাচের ৬১তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। গার্নারদের হয়ে খেলা ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার আলেক্সান্দ্রে লাকেজাত্তে গোলটি করেন। ইংলিশ দলটির হাসি ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসে কেড়ে নেন আরেক ফ্রেঞ্চ তারকা। ৮২তম মিনিটে স্প্যানিশ দলটিকে সমতায় ফেরান আঁতোয়ান গ্রিজম্যান।
গত মাসের ২৭ তারিখের ওই ম্যাচের ফলাফলকে পাশকাটিয়ে দর্শকরা অবাক হয়েছেন ওজিলের ওই কাণ্ডে। যার রেশ এখনও কাটেনি। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১-০৫ মিনিট ফের মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। সরাসরি ম্যাচটি দেখাবে সনি টেন টু।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী তারকার রুটি পাশে রাখার একটি ছবি দিয়ে কানাডায় বসবাসরত জেরাড ই নামের টুইটার ব্যবহারকারী একটি পোস্ট দেন। এতে প্রশ্ন করেন সেখানে কি হয়েছে।
হাদি করিম নামে অপর ব্যক্তি এই দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে রিটুইট করেন, ওজিল একজন মুসলিম। তার ধর্ম খাবারকে অপচয়ের শিক্ষা দেয় না। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতেই তিনি রুটিতে চুমু দিয়েছেন এবং মাথায় ছুঁয়েছেন।
শাহিন নামের আরেক ব্যক্তি টুইট পোস্টে বলেন, অ্যাতলেটিকোর দর্শকরা ওজিলের সামনে রুটি ফেলেছিল।
তিনি তা কপালে ছুঁয়ে পাশে রেখে দিলেন। ইসলামের সংস্কৃতিতে খাবারের অপচয়ে কোনো সুযোগ নেই।
ইউরো কাপের গেলো মৌসুমে তুলনামূলক কম ম্যাচে নেমেছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই মিড ফিল্ডার।
জার্মান জাতীয় দলের কোচ জোয়াকিম লো পুরো সময় খেলানোর জন্য কোচ তাকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছিলো।
জবাবে ওজিলের জবাব ছিল, রোজা আমার জন্য ফরজ, খেলা নয়। ইসলামি বিধিবিধান অনুসরণের ফলে বিশ্ব অবাক হয়েছিলো।
আরো পড়ুন- সঙ্কটে তাবলিগ: দুই আলেমের বিপরীতমুখী মতামত