সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘সৌদি বাদশাহকে বলেছি, বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধে অংশ নেবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বুধবার বিকেলে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সম্মেলন শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  ছাত্রলীগের সম্মেলন যেভাবে হওয়ার সেভাবে হবে। এর জন্য প্রস্তাব ফর্ম ছাড়া হয়েছে। যদি সমঝোতা হয় তবে প্রেস রিলিজ দিয়ে হবে। না হলে ভোটের মাধ্যমে হবে। আমরা দেখতে চাই মেধাবীরা যেন নেতৃত্বে আসে।

বিশ্ব দরবারে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং তিনি সেই প্রশ্নের জবাব দেন। এখন সেই পর্ব চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন ছাত্রীরা পিছিয়ে না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়নের পরও নারীদের সসমান অধিকার দিয়ে গেছেন ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সরকার নারীদের শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ নারীদের শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত না করলে দেশ এগিয়ে যাবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার নারীদের এগিয়ে নিতে অনেক বেশি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। যার ফলে নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। মূল কথা নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে তাঁর সরকার।

প্রধানমন্ত্রী নারী উন্নয়ন বিষয়ে বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর জুডিশিয়াল সার্ভিসসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেই। যেটা আগে কখনো ছিল না। প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আমরা নারীদের উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এরপর ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়ে সেটিও বাস্তবায়ন করেছি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে তাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। তারাও চায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা যারা বাংলাদেশে অবস্থান করেছে তারা যেন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। আমাদের সাথে বৈঠকের পর তারা মিয়ানমারে গেছে সে দেশের সরকারের সাথে আলোচনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যেমন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে তেমনি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেবে। আশা করছি দ্রুত এটির সমাধান হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল-জুবাইলে ‘গালফ শিল্ড-১’ শীর্ষক একটি যৌথ সামরিক মহড়ার সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দিতে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সৌদি আরব সফর করেন।

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবে কিনা  এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে কাজ করে আসছে। সৌদি আরবের বাদশাহকে আমি বলেছি, বাংলাদেশ কোন যুদ্ধে অংশ নেবে না। তবে সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

সেখান থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যান। ১৯ এপ্রিল কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এরপর গত ২৭ এপ্রিল শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। সেখানে তিনি সিডনি আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) ‘গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ গ্রহণ করেন এবং সেখানে অনুষ্ঠিত প্রীতিভোজে যোগ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে নারীশিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকার জন্য এই সম্মাননায় ভূষিত করে। গত রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেন।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ