তামিম আহমেদ: কখনো ভেবেছেন সমুদ্রের গভীরে গিয়ে এক রাত কাটিয়ে আসবেন। প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা বাংলোর বারান্দায় বসে অতল জলরাশি দেখতে দেখতে চা খাবেন। যদি স্বপ্নেই এই সব দেখে থাকেন, তা হলে আপনার স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে।
মালদ্বীপের রঙ্গোলি আইল্যান্ডে সমুদ্রের গভীরে এক আশ্চর্য বাংলো বানাতে চলেছে মালদ্বীপ। পানির নিচে বাংলোটি ঘিরে থাকবে প্রবাল প্রাচীর। অতল জলের আহ্বান শুনতে শুনতে সমুদ্রের গভীরে এক অজানা জগতের স্বাদ পাবেন পর্যটকেরা।
সমুদ্রের ১৬ ফুট নিচে ওই বাংলোর নাম হবে ‘মুরাকা’। স্থানীয় ধিভেহি ভাষায় যার অর্থ প্রবাল। বাংলোর ঘরে বসেই রং বেরঙের প্রবাল প্রাচীরের শোভা নিতে পারবেন পর্যটকেরা। বেডরুমে বসেই দেখবেন আপনার চারপাশে খেলা করে বেরাচ্ছে মাছ ও অক্টোপাসেরা। ভাগ্যে থাকলে দু’একটা খুনে হাঙরও যে চোখে পড়বে না তা নয়।
চলতি বছর নভেম্বরেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মুরাকা। ঝাঁ চকচকে বাংলোটির অন্দরসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন আহমেদ সালিম। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে প্রতিটি ঘর। থাকবে বিলাস-ব্যসনের এলাহি আয়োজন।খাবারও পাওয়া যাবে মনের মতোই।
গোটা বাংলোটিকে ভাগ করা হয়েছে দু’টি ভাগে। অনেকটা দোতলা বাড়ির মতো। একেবারে নীচের তলাটি সমুদ্রের ১৬.৪ ফুট গভীরে। সেখানে প্রতিটি সুইটে থাকছে বিশাল বড় বেডরুম এবং সুসজ্জিত বাথরুম। নিচের তলা থেকে ঘোরানো সিঁড়ি উঠে এসেছে জলের উপরে।
সেখানেও রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। অর্থাৎ চাইলেই আপনি জলের নিচের ঘরে বসে প্রবাল প্রাচীর দেখতে পারেন। অথবা উপরে উঠে এসে সূর্যাস্তের মজা নিতে পারেন।
তা ছাড়াও বাংলোটিতে রয়েছে জিম, বার, সান ডেক, স্পা, পর্যটকদের জন্য আলাদা লিভিং রুম। পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রাখা হয়েছে।
তবে, লোভনীয় এই বাংলোর ছবি দেখে মলদ্বীপ যাওয়ার কথা ভাবলে আগে জেনে নিন এখানে থাকার খরচ কত। মাছ ও প্রবাল প্রাচীরের শোভা দেখতে দেখতে মুরাকায় এক রাত থাকার খরচ ৩৩ লক্ষ টাকা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা