মাহমদুল হাসান: সোডা, কেক, মিষ্টি পানীয়, ইন্সট্যান্ট নুডুলস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, সসেজ, নাগেটস, মচমচে খাবার, বেকন, প্যাকেটজাত রুটির মত খাবারগুলোকে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার হিসাবে গণ্য করেছেন গবেষকরা।
১০৫,০০০ মানুষের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ ধরনের খাবার খাওয়া ১০ শতাংশ বাড়ালেও ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১২ শতাংশ বেড়ে যায়।
প্যারিসের সোরবোন এবং সাও পাওলো ইউনিভার্সিটির গবেষকদল বলছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বেশি।
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে মানুষের ওজন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং কলেস্টরেলও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর এ সবই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ পেয়েছে। এ গবেষণায় গবেষকরা গড়ে ৪৩ বছর বয়সী ১০৪,৯৮০ জন মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। এদের ২২ শতাংশ পুরুষ এবং ৮৭ শতাংশই নারী।
খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও বয়স এবং পারিবাকি ইতিহাসের মত ক্যান্সারের অন্যান্য ঝুঁকিগুলোও গবেষণায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গড়ে ৫ বছর সময়ে তাদের ওপর গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণার সময় গড়ে ১৮% মানুষের খাবার ছিল অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত। গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার জনের মধ্যে ৭৯ জনের ক্যান্সার দেখা গেছে। প্রক্রিয়াজাত খাবার ১০% বাড়ানোয় বছরে প্রতি ১০ হাজারে অতিরিক্ত ৯ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাও যে বাড়তে পারে এ গবেষণা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
তবে গবেষণার ফলের বিষয়য়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরো বড় পরিসরে গবেষণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা মত দিয়েছেন।
গবেষণায় ফল, শাক সবজি, চাল, পাস্তা, মাংস, মাছ, দুধ, ডিমের মত খাবার খাওয়ায় ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম পরিলক্ষিত হয়েছে।
তাছাড়া, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: টিনজাত শাকসবজি, পনীর, খোলা রুটি খাওয়ার সঙ্গেও ক্যান্সারের তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
আরো পড়ুন- আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস, ঝুঁকিতে পৌনে দুই কোটি মানুষ