আম্মার সাদিক : দেশের প্রতিটা শহরেই নাগরিকদের সকাল-সন্ধ্যা পায়চারির জন্য থাকে পার্ক বা খোলা জায়গা। হাঁটাহাঁটি, ব্যয়াম ছাড়াও পার্কগুলোতে নারী-পুরুষের অবাধ যাতায়াত। এসবে অসামাজিকতাও চলতে দেখা যায়। এমনকি ঈদগাহ মাঠগুলোও নিস্তার পাচ্ছে না এমন পরিস্থিতি থেকে।
সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে বহুদিন ধরেই চলে আসছিল নারী-পুুরুষের এমন অবাধ যাতায়াত। ঈদগাহের পবিত্রতার প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ না করেই চলছিল নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। সম্প্রতি দীনদার এলাকাবাসীর সর্বসম্মতিতে সেখানে নারীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির মানুষ বিতর্ক তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তারা জানান, ঈদগাহের পবিত্রতা রক্ষার্থে সবার সম্মতিতে নেয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হতে দেয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।
সিলেট শাহী ঈদগাহ কমিটির সদস্য মুশতাক আহমদ বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঈদগাহ এলাকার পবিত্রতা রক্ষার জন্যে এই সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। সাইনবোর্ডটি ঈদগাহ কমিটির উদ্যোগে লাগানো হয়নি তবে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আমাদের সম্মতি আছে।
তিনি বলেন, ইদানীংকালে সন্ধ্যার পর ঈদগাহ ময়দানে অনেক নারী পুরুষ একসাথে বসে থাকেন যা ঈদগাহের পবিত্রতা নষ্ট করে।
এছাড়া রাতের অন্ধকারে অনেক অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় এখানে দুই থেকে আড়াই লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। বর্তমানে সিলেটের প্রধান ঈদের জামাত শাহী ঈদগাহেই অনুষ্ঠিত হয়। আর সিলেটে আসা ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকরাও একবার হলেও ঘুরে যান নিরিবিলি পরিবেশের শাহী ঈদগাহ থেকে।
এসএস
আরো পড়ুন : রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে কমনওয়েলথ