আওয়ার ইসলাম: ‘বাংলাদেশকে বাঁচায় যে সুন্দরবন তাকেই এই সরকার দেশি-বিদেশি লুন্ঠনকারী মুনাফাখোর ও দখলদারদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে বলে মন্তব্য করেন, জাতীয় কমিটি ঢাকা মহানগরের সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবনবিনাশী সকল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন,আবারও সুন্দরবনের ভেতরে মোংলা সমুদ্রবন্দরের পশুর চ্যানেলে হাড়বাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাশ নামের একটি লাইটার জাহাজ গত ১৪ এপ্রিল রাতে ডুবে গেছে।
বলা হয়েছে, পথে ডুবো চরে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। গত কয়বছরে বারবার সুন্দরবনের ভেতরে কয়লাসহ ভয়াবহ দূষণ সৃষ্টিকারী পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি করলেও সরকার তা রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বিকল্প পথে নৌ পরিবহনের প্রকল্প নিয়ে বিপুল অর্থব্যয় করা হয়েছে কিন্তু কোনো ফল আসেনি। এটা ধারণা করবার যুক্তি আছে যে, সুন্দরবনের গুরুত্ব বুঝতে সরকারের অনিচ্ছা বা অক্ষমতার কারণেই কার্যকর সিদ্ধান্ত ও তার বাস্তবায়নে ব্যর্থতা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যখন অবিশ্বাস্যভাবে বলেন, ‘কয়লা দিয়ে পানি পরিষ্কার হয় তখন তা সরকারের যথাযথ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে শৈথিল্য সৃষ্টি করতে বাধ্য। উল্লেখ্য যে, সরকার গায়ের জোরে যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে তাতে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার টন কয়লা এই পশুর নদী নিয়েই নেওয়া হবে।
এর ভয়াবহতা চিন্তাও করা যায় না। সুন্দরবন ও প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে ন্যূনতম দায়বোধ থাকলে কোনো সরকার সুন্দরবনবিনাশী এসব তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে না।’
আরো পড়ুন- অরক্ষিত সুন্দরবনের সুরক্ষার দায় কার?