রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়ায় গভীর রাতে হল থেকে বহিস্কার ছাত্রীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  মুঠোফোন ‘চেক’ করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রীদের বের করে দিচ্ছে কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ। হলের প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রেজওয়ানা নিজেই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মিডিয়াকে এ কথা জানান।

সাধারণ ছাত্রীরা হলের এই অবস্থানের বিরোধিতা করছেন। তারা মারাত্মক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তারা বলছেন হলের প্রাধ্যক্ষ আরও বহু ছাত্রীর ছাত্রত্ব বাতিল করে দেওয়া, গোয়েন্দা নজরদারি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন।

সাবিতা রেজওয়ানা বলেন, আমরা অনেক ছাত্রীকে ডেকেছি। তাদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব ছড়াচ্ছে। মুচলেকা দিয়ে তাদের স্থানীয় অভিভাবকের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ঠিক কত ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্ক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত নিশ্চিত হওযা যায়নি। প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এমন চারজন ছাত্রীর পরিচয় জানতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের সামনেই একজন ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়।

ওই ছাত্রীর বাবা ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে দ্রুতবেগে চলে যান। সেসময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। এরপর রাত ১২টা ৪০মিনিটে এক ছাত্রীর বাবা হলের ফটক দিয়ে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে ফোন করে হলে এসে তাঁর মেয়েকে নিয়ে যেতে বলা হয়।

এরপর থেকে ওই ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ধামরাই থেকে হলের গেটে পৌঁছে অপেক্ষা করছিলেন। পরে তিনি একাই সেখান থেকে চলে যান। সেসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তাঁর মেয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আন্দোলনের কারণে সে (ওই ব্যক্তির মেয়ে) রাতেও হল থেকে বের হয়েছিল। ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না হয় হল থেকে এসব বিষয়ে তাঁকে ডেকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

সাবিতা রেজওয়ানা বলেছেন, দুই ছাত্রীর স্থানীয় অভিভাবককে ডেকে ছাত্রীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মঞ্চ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেছেন, রাতে আটজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। হল কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, রাত ৯টা থেকে কমপক্ষে ৫০ জনকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন- ফেসবুকের লাইক বিক্রি ও বুস্ট করা অবৈধ : মিসরের প্রধান মুফতি


সম্পর্কিত খবর