আওয়ার ইসলাম : তারুণ্যকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর স্বার্থে এবং সরকারব্যবস্থায় সবরকম দুর্নীতি রোধে কর্মমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে কর্মমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া দুদকের এক সুপারিশে বলা হয়েছে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রি (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) গ্রহণের পথ এতোটাই অবারিত হয়েছে যে, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে লাখ লাখ চাকুরিপ্রার্থী দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এদের একটা বড় অংশ দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। অন্যদিকে অনেকে ঘুষ-দুর্নীতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে চাকুরি পাওয়ার আশায় দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়ছেন এবং প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।।
দুদক বলছে, সরকারি নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা এবং অযোগ্য চাকুরিপ্রার্থীরা দেশে নিয়োগে দুর্নীতির প্রধান উৎস। পক্ষান্তরে, দেশের বিভিন্ন উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদের অভাব।
চাহিদামতো জনবল না পাওয়ার কারণে দেশ দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে মানবসম্পদের ছড়াছড়ি হলেও পণ্য উৎপাদন ও সেবা খাতে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদের অভাব রয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মকৌশল গ্রহণের সুপারিশও করেছে দুদক। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ মেধাবীদের জন্যই কেবল উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডিং পয়েন্ট বিন্যাস করে একটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণের কথা বলেছে সংস্থাটি।
দুদকের সুপারিশ অনুযায়ী, নির্ধারিত বেঞ্চ মার্কের কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীগণ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল, চিকিৎসা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
তাদের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা যেমন পলিটেকনিক, মনোটেকনিক এবং ভোকেশনাল শিক্ষার সুযোগ দিয়ে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদে পরিণত করা যেতে পারে। কেবল এভাবেই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে তরুণদের সুশিক্ষিত করে সক্ষম এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
এসএস
আরো পড়ুন : ‘মুগ্ধতা কাটে না এখনও’