আওয়ার ইসলাম : বিভিন্ন জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর। তাদের বিরুদ্ধে জাপানি নাগরিক কোনিও হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি তৎতপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গোয়েন্দাদের রিপোর্ট মতো রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দাদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী নিখোঁজ। তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত বলে তাদের প্রবল ধারণা। জাপানি নাগরিক কোনিও হত্যা মামলায় ফাঁসির রায়প্রাপ্ত প্রধান আসামিও তাদের মধ্যে একজন।
এছাড়াও সাদিয়া আফরোজ মীনা নামে আরেক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে কয়েকদিন আগে। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার রিমান্ড এখনো অব্যাহত। আরও অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার হোলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০ দিনের বেশি নিখোঁজ থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
সরকারের এ নির্দেশনার পর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবরাহিম কবীর ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে এ বিষয়ে চিঠি দেন। পরে ১০টি বিভাগ তালিকা জমা দেয়। সেই তালিকায় কেউ নিখোঁজ ছিল না। বাকি ১১টি বিভাগ এখনও কোনও তালিকাই দেয়নি।
২১টি বিভাগে বর্তমানে কতজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও তথ্য দিতে পারেনি।
এসএস
আরো পড়ুন : কাদিয়ানিদের সব কার্যক্রম সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে : খতমে নবুয়ত