আওয়ার ইসলাম: আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার কিছু পরে সার্ক ফোয়ারা মোড় থেকে একটু সামনে আয়াত ও লাব্বাইক পরিবহনের দুটি বাস ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিল। ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মসিউর রহমান বাস দুটিকে থামার নির্দেশ দেন। কিন্তু দুটিই পালানোর চেষ্টা করে। প্রজাপতি গুহার সামনে আয়াত ধরা পড়ে। তবে লাব্বাইক ছুটতে থাকে।
পাশ থেকে পুলিশ সদস্য লাব্বাইকের দরজার হ্যান্ডেল ধরে বসলেও চালক থামেননি। বাস চলছে আর পুলিশ সদস্য বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়াচ্ছেন। তখন পুলিশের পাশ দিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বাস। ওই সময় বাসের হ্যান্ডেল থেকে হাত ছিটকে পড়লে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা। তবে বাসটি পালাতে পারলেও ওই পুলিশ সদস্য লাব্বাইকের সহকারীকে ধরতে সক্ষম হন।
বেলা একটার দিকে কারওয়ান বাজার ও সার্ক ফোয়ারা মোড়ের পুলিশ বক্সের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। বেপরোয়া গাড়ি চলাচল ও রাস্তায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মসিউর রহমানের নেতৃত্বে এ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আয়াত পরিবহনের চালক রুহুল আমিনকে আটক করা হয়। তিনি অবশ্য বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে তিনি নির্দেশ বুঝতে পারেননি। তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে লাব্বাইকের বাসটি না থামার কারণে ওই পুলিশ সদস্য একপর্যায়ে হাত ছেড়ে দেন। এতে তিনি হাতে ব্যথা পান।
পরে বাসটি কিছু দূর গিয়ে থেমে সহকারীকে নামিয়ে ছুট দেয়। পরে বাসের সহকারী মো. স্বপনকে দেওয়া হয় তিন মাসের কারাদণ্ড।
এইচজে