আবদুল্লাহ তামিম: দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেনের লাশ দাফন হওয়ার আগেই পাওয়া গেছে আরো দুটি মর্মস্পর্শী ঘটনা।
মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামে ট্রাকের চাপায় একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বাসযাত্রী খালিদ হাসান হৃদয়ের। ২০ বছর বয়সের ওই তরুণ পেশায় পরিবহন শ্রমিক। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে পৌঁছার পর ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, হৃদয় কাজ করেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামের একটি বাস কম্পানিতে। গতকাল তার ছুটি ছিল। হৃদয় বাড়তি রোজগারের আশায় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাসে চড়ে গোপালগঞ্জ সদরে আরেকটি বাসে কাজ করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তাকে বহনকারী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় হৃদয়ের হাত বাসের জানালার বাইরে ছিল। ট্রাকের আঘাতে তাঁর হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হলেও তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো হওয়ায় তাদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। রবিউল ইসলাম জানান, তাঁর তিন সন্তান এবং হৃদয় একমাত্র ছেলে।
এভাবে প্রতিদিন হাজারো প্রাণ ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিযোগিতায় গিয়ে বাস চালকরা। এভাবে আর কত রাজিবের প্রাণ যাবে ? এর কী কোনো প্রতিকার নেই?
আরো পড়ুন- হঠাৎ ছাদের ওপর মিসাইল এসে পড়ে, সৌদি প্রবাসী