ওমর ফাইয়ায
আওয়ার ইসলাম
দিল্লিতে জামিয়া নগর শাহীবাগের পার্শবর্তী কালুন্দি কুঞ্জ এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে প্রায় ৪৬টি তাবু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ৫০ শিশুসহ প্রায় আড়াইশো মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। আবাসন সমস্যার পাশাপাশি নিজেদের পরিচয়পত্র নিয়েও তারা জটিল সমস্যায় পড়েছে। কারণ তাদের অনেকেরই আইডি কার্ড এবং অন্যান্য জরুরি কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
জামিয়তে ওলমায়ে হিন্দ বলছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এটা কোনো দুর্ঘটনার নয়, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আগুন লাগানো হয়েছে।
এই আগুন লাগে ভোর পৌনে চারটার দিকে। ফায়ার ব্রিগেডের দশটি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন লাগার পর মানুষকে কান্নাকাটি ও ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। নারীরা দুধের বাচ্চাদের নিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে পালাচ্ছিলো।
দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয় নি। এক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
যুব মজলিসের রোহিঙ্গা শিবিরের সবচেয়ে বড় মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে
পুলিশ বলছে, আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আগুন লেগেছে শর্ট সার্কিট থেকে।
ঘটনার পরপরেই মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানির নির্দেশে জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের মাওলানা মুহাম্মাদ দাউদ ইয়েমেনি, মাওলানা জিয়াউল্লাহ কাসেমি, মাওলানা আহরারুল হক কাসেমি, মাওলানা সুলাইম, মাওলানা আরেফ কাসেমি জরুরি ত্রাণ সামগ্রি নিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।
জামিয়তের ওলামায়ে হিন্দ দিল্লির প্রধান মাওলানা আহেদ কাসেমি সকালে ঘটনাস্থলে যান। তার সাথে মাওলানা গায়ূল কাসেমি, কারি হারুন আসআদি, মুফতি হিসামুদ্দিন মুহাম্মাদ ইহসান এবং মাওলানা মুহাম্মাদ যায়েদও ছিলেন।
রোজনামা খবরেঁ থেকে ওমর ফাইয়ায এর অনুবাদ
এফএফ