শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮ ভারতীয় মুসলিমরা এখনই না জাগলে অধিকার নয়, পরিচয়ও হারাতে পারে

দেশজ সংস্কৃতির সঠিক দিশা লাভে প্রয়োজন সিরাতুন্নবীর জীবনঘনিষ্ট অধ্যয়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইউসুফ নূর বলেছেন, মিরাজ নবী জীবনের সেরা গৌরবময় অধ্যায়। এর মাধ্যমে আল্লাহ নবীকুল সম্রাট মুহাম্মদ সা. কে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্টিত করেছেন।

শ্রেষ্টত্ব ও সম্মান এবং মুক্তি ও পরিত্রাণ একমাত্র নববী আদর্শের ছায়ায়-এটাই হচ্ছে বিশ^বাসীর তরে মিরাজের বার্তা। শ্রেষ্ট নবীর শেষ্ট উম্মত হয়েও আদর্শিক সংকটে নিপাতিত হওয়া চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়।

১৩ এপ্রিল দোহার বিন যায়েদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত “মিরাজের শিক্ষা ও ইতিবৃত্ত এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যের আলোকে বাংলাসন” শীর্ষক পাক্ষিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আলনূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগীয় পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক আর উপস্থাপনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন মাশরুফ।

উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ পরিচালক পেয়ার মুহাম্মদ, শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য রাকিবুল ইসলাম , শের আলম ও কারী ইব্রাহিম প্রমুখ।

মাওলানা ইউসুফ আরো বলেন, ১৪ এপ্রিলে মেরাজের পূণ্যস্মৃতি ও বাংলা নববর্ষের যুগপৎ সম্মিলন আমাদের এই বার্তা দিচ্ছে যে, বৈশাখ ও নববর্ষ সহ দেশজ সংস্কৃতির ব্যাপারে সঠিক দিশা লাভের জন্য সিরাতুন্নবীর জীবনঘনিষ্ট অধ্যয়ন একান্ত প্রয়োজন। জাতীয় জীবনের এই অস্থির মুহূর্তে বিভাজন ও বিভক্তির সর্বানাশা পথ পরিহার করে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্থাপনে এগিয়ে আসা সকলের কর্তব্য।

বাংলা সনের প্রবর্তন, ক্রমবিকাশ ও উৎকর্ষতায় মুসলিম শাসক ও বুদ্ধিজীবদের অবদান ইতিহাসে স্বীকৃত। এতএব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে তাওহীদী চিন্তা-চেতনা বিরোধী কোন সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া নীতিবিরুদ্ধ ও অগণতান্ত্রিক ।

অপরদিকে দেশীয় কৃষ্টি-কালচার ও লোকজ উৎসবগুলোকে ঢালাওভাবে অনৈসলামিক আখ্যা দেয়া ও হবে অদুরদর্শীও বাস্তবতা বিবর্জিত। ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী বীমা, ইসলামীক স্কুল ও ইসলামী সংস্কৃতিক ফোরাম আজ বাস্তব সত্য, যা কয়েক যুগ আগেও ছিল অকল্পনীয়।

তাই, দেশজ সংস্কৃতির উন্নয়ন ও উদযাপনের সুষ্ঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে শাসকবর্গ, চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী ও সচেতন ওলামা-মাশায়েখের যৌথ প্রচেষ্টা ও সমন্বিত পদক্ষেপ আমাদের একান্ত কাম্য।

আরো পড়ুন- বাংলা নববর্ষ, মনুবাদ ও সাংস্কৃতিক লড়াই


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ