আবদুল্লাহ তামিম: সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমে ২,000 বছরেরও বেশি পুরনো ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় খোলা জাদুঘর আল-উলা অবস্থিত।
আল-উলা অঞ্চলে একটি পাথুরে এলাকা আল উলা নামক এ জাদুঘর। তাতে অসংখ্য নৃতাত্ত্বিকপ্রত্নতত্ত্ব স্থাপনার এক মহা সমুদ্র।বর্তমানে সৌদির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠেছে।
সম্প্রতি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান এই এলাকাটির পরিচর্যার জন্য ও পুন:নির্মাণের জন্য ফ্রান্সের সাথে ১০-বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
গত বছরের জুলাই মাসে সৌদি কাউন্সিল অফ শূরা একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে সামনে রেখে এ এলাকাটিকে উন্নয়ন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
আল-উলা এর রয়েল কমিশনের জেনারেল ডিরেক্টর ওমর মাদানি বলেন, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে আশা করা যায় পর্যটকরা উন্মুক্ত জদুঘর হিসেবে পরিদর্শন করতে পারে। এটিই অায়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খোলা জাদুঘর হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি অর্জন করবে।
জাদুঘরের এ পুরনো বাড়িটি ২২,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এতে হাজারো শত শত বছর আগের অনন্য জিনিসপত্রও দেখা যাবে।
নির্ধারনের সময়কাল
২০০৮ সালে ইউনেস্কো হেজাজের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান মাদেন সালেহকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে হিসাবে শ্রেণীভুক্ত করে। এর পরই তালিকায় যুক্ত হয় সৌদি আরবের আল উলা।
বড় বড় সমাধিসহ এ এলাকাটিতে রয়েছে শতবছর আগের বসবাসের চিহ্ন। অন্যন্য শৈল্পিক অসংখ্য গুহা।
এ জাদুঘরে ১১১টি কবরস্থান ৯৪টি শোভাময় পানির ফোয়ারা ও নবাবিয়া কালের বিভিন্ন নিদর্শন।
সূত্র: আল-আরাবিয়া
আরো পড়ুন- আফগানের গহীন পাহাড়ে মুসলিমদের হাসি