ওমর ফাইয়ায
আওয়ার ইসলাম
ইসলাম সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর অধিকারগুলো রক্ষা করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। যে অধিকারগুলো স্ত্রীকে দেয়া স্বামীর ওপর ওয়াজিব।
বিশেষ করে যে হকগুলো বিয়ের আকদের কারণে ফরজ হয় যেমন মোহর ও নাফাকা। বিয়েতে নির্ধারিত মোহর আদায় না করা বা এক্ষেত্রে কোনো প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা সম্পর্কে হাদিসে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে।
আমর ইবনে দিনার আনসারি রা. বলেন, সুহাইবের কোনো এক সন্তান আমার কাছে বর্ণনা করেছে, তারা একদিন তাদের বাবাকে বললো, তুমি আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করো না কেনো- যেমন রাসুল সা. এর অন্য সাহাবীরা বর্ণনা করেন?
তিনি বললেন, তারা যেমন শুনেছে আমিও শুনেছি। কিন্তু হাদিস বর্ণনা করতে আমাকে বাধা দেয় রসুল সা.-এর এই কথাটি, যে ইচ্ছাকৃত আমার উপর মিথ্যা বলে, সে জাহান্নামকে তার বাসস্থান বানিয়ে নেয়।
কিন্তু এখন আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করবো এমন একটি হাদিস যা আমার হৃদয় মুখস্থ করেছে ও ধারণ করেছে।
আমি রাসুল সা. কে বলতে শুনেছি, যে পুরুষ কোনো নারীকে বিয়ে করে আর তার নিয়ত হলো তার মোহর আত্মসাৎ করা, তাহলে সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ব্যাভিচারী হিসেবে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তির সাথে চুক্তি করেছে আর তার নিয়ত হলো তার হক আত্মসাৎ করা সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খিয়ানতকারী হিসেবে গণ্য হবে।
রাসুল সা. আরও বলেন, আনসারদের ভালোবাসা ঈমান আর তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখা কুফর এবং যে ব্যক্তি কোনো নারীকে বিয়ে করেছে কোনো মোহরেরর উপর এবং তা দেয়ার ইচ্ছা তার নেই, তাহলে সে ব্যাভিচারী।
রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি কোনো নারীর জন্য মোহর নির্ধারণ করে আর আল্লাহ জানেন ওই মোহর আদায় করার ইচ্ছা তার নেই। তাহলে সে তাকে আল্লাহর নামে ধোঁকা দিলো এবং অন্যায়ভাবে তার লজ্জাস্থানকে হালাল করলো।
আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের দিন সে তার সাথে সাক্ষাত করবে ব্যাভিচারী হিসেবে। আর যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে, সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের দিন তার সাথে চোর হিসেবে সাক্ষাত করবে।
এফএফ
[আওয়ার ইসলাম বৃহত্তর কলেবরে প্রকাশ করতে যাচ্ছে রমজানুল মোবারক সংখ্যা, আপনার মাদরাসা-স্কুল বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করুন। আপনার কপি সংগ্রহ করতে ফোন করুন 01717831937 বিকাশ]