হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, বিশ্বের দেশে দেশে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ইরাক, ইয়েমেন, মিয়ানমার, সিরিয়ায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর এখন আফগাস্তিানে নতুন করে শিশু হাফেজে কুরআনদের হত্যা করছে।
তিনি বলেন, নেপালে বিমান দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হলেও আফগানিন্তানে কেবলমাত্র মুসলমান হত্যার কারণে কোন বিবৃতি পর্যন্ত দিতে পারেনি। আমেরিকা পরাশক্তি দাবি করে বিশ্বময় অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। বিশ্বের সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজ শুক্রবার বাদ জুমআ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ফিলিস্তিনে নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং আফগানিস্তানে মসজিদ মাদরাসায় বোমা হামলায় শতাধিক হাফেজে কুরআন শহীদ করার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান, নগর দক্ষিণের সহসভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতি দেলাওয়ার হুসাইন সাকী, শেখ মুহাম্মদ নুর-উন-নাবী, মুফতি মানসুর আহমদ সাকী প্রমূখ।
প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক মুনাফিক মুসলিম নেতৃত্বের কারণে দেশে দেশে মুসলিম নিধন করার সুযোগ পাচ্ছে। এ সকল মুনাফিকদের চিহ্নিত করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আমেরিকার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো জারজরাষ্ট্র ইসরাইলকে শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার মদদে ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মুসলিম নারী, শিশু ও হাফেজদেরকে হত্যা করে নিজেদের আসল চেহারা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে।
সৌদীসহ মুসলিমবিশ্ব এসকল হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের মুসলিম নিধন বন্ধ হচ্ছে না। তিনি পহেলা বৈশাখের নামে মঙ্গল প্রদীপ শোভাযাত্রা দেশময় ছড়িয়ে দেয়ার চক্রান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, পহেলা বৈশাখের নামে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি এদেশে চলতে দেয়া হবে না।
সমাবেশ শেষে হাজার হাজার মানুষের একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড় হয়ে জনতা ব্যাংকের সামনে এসে মুনাজাতের মাধ্য সমাপ্ত করা হয়।