রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক অভিযানের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী। এর মধ্যে ৩ সেনা সদস্যও রয়েছে। প্রাণ গেছে ৪ সাধারণ নাগরিকেরও। এছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।
উপত্যকার সোপিয়ান জেলার ড্রাগড় ও কাচদুড়া এবং অনন্তনাগ জেলার দিয়ালগাম এলাকায় তিনটি জায়গায় সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাতে অনন্তনাগের একটি ও সোফিয়ান জেলার দুইটি লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। তবে সোফিয়ানের একটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীকে রবিবার দিনভর বেগ পোহাতে হয়।
পুলিশ সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবারের অভিযানে সোফিয়ান জেলার দ্রাগাদ গ্রামে নিহত হয় ৮ জন। অপর একজন নিহত হয় অনন্তনাগের দয়ালগামের অভিযানে।
সোফিয়ানের কাচদোরা এলাকায় বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে ১৫ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিন বিদ্রোহী, এক সেনাসদস্য এবং চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
সন্ধ্যায় পুলওয়ামায় অবন্তীপোরাতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনীর শ্রীনগর ভিত্তিক ১৫ কর্পসের কমান্ডার লে. জেনারেল এ.কে.ভাট জানান ‘আজকের দিনটি আমাদের সকল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বিশেষ দিন’।
গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের ঘটনায় কাশ্মিরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে দক্ষিণ কাশ্মিরে বিক্ষোভের তীব্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব বিক্ষোভ থেকে পাথর ছুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কেউ যেন বিক্ষোভের ডাক দিতে না পারে সেজন্য রবিবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শ্রীনগর ও বানিহালের মধ্যে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ১৩ বিদ্রোহী ও ৪ জন বেসামরিকের মৃত্যুর ঘটনায় আগামীকাল উপত্যাকায় হরতালের ডাক দিয়েছে উপত্যাকার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলি।
সূত্র : আল-জাজিরা, এনডিটিভি/আরএম