আবদুল্লাহ তামিম: মিশরের ৮ বছরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু মোহাম্মদ সালামাত আশারী তার ছয় বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন।
মুহাম্মাদ সালামাত আশারী পবিত্র কুরআনের পৃষ্ঠা অনুযায়ী আয়াত মুখস্থ করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কুরআনের কোন পৃষ্ঠায় কোন সূরা এবং কত নম্বর আয়াত রয়েছে তিনি তা নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।
তিনি মিশরের বোহাইরা প্রদেশের অধিবাসী। এ বছরে মিশরে অনুষ্ঠিত ২৫তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১২-এর সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছেন।
মিশরের এই ক্ষুদে হাফেজ তাফসিরের শিক্ষক হিসেবে শেখ মুহাম্মাদ মুতাওয়ালী শায়রাভী পছন্দ করেন এবং ক্বিরাতের আদর্শ শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদে অনুসরণ করেন। এছাড়াও হাদিসের শিক্ষক হিসেবে আমি আহমাদ ওমর হাশেমীকে পছন্দ করেন। বর্তমানে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ সেন্টারে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
মুহাম্মাদ সালামাত আশারীর হেফজের শিক্ষক তার সম্পর্কে বলেন: মুহাম্মাদ ৪ বছর বয়স থেকে কুরআন হেফজ করা শুরু করেছেন এবং মাত্র দু'বছরের মধ্যে অর্থাৎ তার ৬ বছর চলাকালীন সময়ে তিনি সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। হাফসের রেওয়ায়ত অনুযায়ী মুহাম্মাদ সালামাত কুরআন তিলাওয়াত করেনে এবং তিনি প্রতিটি আয়াত ও পৃষ্ঠা অনুযায়ী কুরআন হেফজ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২৫তম আন্তর্জাতিক কুরআন হেফজ প্রতিযোগিতা মিশরের এনডাওমেন্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুদস শরীফের সাথে একাত্মবোধ প্রকাশ করে "আরব জেরুজালেম" শিরোনামে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪শে মার্চে প্রতিযোগিতার সূচনা হয় এবং বৃহস্পতিবার (২৯শে মার্চ) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।