রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মালয়শিয়া প্রচীনতম সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুনীরুল ইসলাম 
কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া

মালয়শিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর অন্যতম একটি মসজিদ ‘মসজিদ জামেক’ যা স্থানীয় লোকজন মসজিদ জা'মে নামেই ডাকে ৷

রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত এ মসজিদটি স্থানীয় ক্লাং এবং গোম্বাক নদীর মিলিত মোহনায় অবস্থিত ৷ যদিও বর্তমানে নদীর শেষ চিহৃটুকুও বুঝার উপায় নেই  কোন কালে কখনো এখানে নদী ছিল ৷

বর্তমানে আধুনিক সব ডিজাইন আর নান্দনিক শিল্প দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে মসজিদের চারপাশ ৷ এটি ১৯০৭ সালে ইসলামি মোঘল স্থাপত্যরীতি ও মালয়শিয়ার ঐতিহ্য রেখে আর্থার বেনিনস হাবব্যাকের ডিজাইনে তৈরি করা হয় ৷ ১৯০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়৷ তবে ১৯৬৫ সালে জাতীয় মসজিদ নির্মাণের আগে এটিই কুয়ালালামপুরের প্রধান মসজিদ ছিল ৷

মসজিদটিতে সামনের দিকে দুটি মিনার ও মূল ভবনে তিনটি গম্বুজ রয়েছে ৷ মাঝের গম্বুজটি ৭০ ফুট ও মিনার দুটি ৮৮ ফুট উচ্চতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷ মিনার দুটিতেও রয়েছে ছাতাকৃতির গম্বুজ ৷

বর্তমানে মুসল্লী সংকুলান না হওয়ায় মূল মসজিদের দুপাশে দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ৷ মূল ফটকের সামনের অংশে ছাতাকৃতির কয়েকটি দর্শনীয় স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে ৷

এককালের নদী দুটোকে আধুনিক লেক বানিয়ে পানির ফোয়ারায় রুপান্তিরত করে রং বেরংয়ের বাতি লাগিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে ৷ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে মসজিদের মূল অংশ ঠিক রেখে চারপাশ আধুনিক ডিজাইন আর দামী পাথর দিয়ে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে ৷

তার সাথে তৈরি করা হয়েছে চমৎকার একটি ব্রীজ ৷ যা মসজিদের পশ্চিম পাশের মারদাকা মাঠের (জাতিয় মাঠ) সাথে যুক্ত করা হয়েছে ৷

প্রাথমিক তথ্য- নাম: সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

অবস্থান: কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া নির্মাণ: ১৯০৭-১৯০৯ স্থাপত্য শৈলী: ইসলামী ও মুঘল স্থাপত্য ধারণ ক্ষমতা: ৩০০০ গম্বুজ: তিনটি ৷ মিনার: দুটি

বর্তমানে মসজিদটি কুয়ালালামপুর ইসলামি কাউন্সিল পরিচালনা করে আসছে ৷

আরো পড়ুন- শায়খ যাকারিয়া রহ.-এর আমানত পেয়ে ধন্য আমি


সম্পর্কিত খবর