রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
দুয়া কী?
আভিধানিক অর্থে দুয়া হলো আহ্বান করা, প্রার্থনা বা যাচনা করা। শরীয়তের পরিভাষায় দুয়া বলে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধকল্পে মহান আল্লাহকে ডাকা এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা।আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতীত মানুষের কোন উপায় নেই, আর দুয়া হল আল্লাহর নৈকট্যলাভের বিশেষ বাহন ও মাধ্যম। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা, প্রত্যাশা ও সাহায্য কামনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নিকটবর্তী হয়। এ দ্বারা মানুষ তার প্রতিপালকের ইবাদত করে, উদ্দেশ্যে উপনীত হয়, তার সন্তুষ্টি লাভ করে।
কেন দুয়া করবেন, দুয়ার উপকারিতা কী ?
দুয়াতে রয়েছে প্রভূত ফযীলত, মহা পুরুস্কার, শুভ পরিণতি ও অনেক উপকার। তার মধ্য থেঞকে কয়েকটি উলেলখ করা হল-
১. দুয়া ইবাদত, দুয়াকারী ব্যক্তি দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং পুরুস্কার প্রাপ্ত হয়। আল্লাহ বলেন,
তাদের পার্শ্ব শয্যা হতে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় কর। কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়ন প্রীতিকর প্রতিদান লুকায়িত আছে। (সাজদা : ১৬-১৭)
২. দুয়াতে রয়েছে দুয়াকারী ব্যক্তির আবেদনের সাড়া। মহান আল্লাহ বলেন –
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দিব। (আল-মুমিন:৬০)
৩. দু্য়াতে রয়েছে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য ও হীনতা-দীনতার প্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন –
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক কাকুতি মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না। পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে ফাসাদ সৃষ্টি করো না। তাকে আহবান কর ভয় ও আশা সহকারে। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। (আরাফ :৫৫,৫৬)
৪. দুয়া ইহকাল ও পরকালে দুয়াকারী ব্যক্তি থেকে অনিষ্ট রোধ করে ও পাপ মোচন করে।
আরও পড়ুন : দুয়া কবুলের গল্প