মুফতি ইসমাইল মেনক
শিক্ষাবিদ ও দাঈ
একজন ব্যক্তির হার্টের স্পন্দন যখন বন্ধ হয়ে যায়, তিনি ব্যথা অনুভব করেন। তার আত্মীয়-স্বজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার যখন বলেন, আপনাকে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তিনি নিশ্চিতভাবেই অভ্যাসটি ত্যাগ করবেন।
কেন? ডাক্তার বলেছেন তাই।
কিন্তু, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা জন্য আমরা কয়জন প্রস্তুত এটা বলতে যে “ এখন থেকে এই খারাপ অভ্যাস বাদ”। কয়জন বলতে পারি?
আমরা কি একটা হার্ট অ্যাটাকের জন্য অপেক্ষা করছি, একটা খারাপ অভ্যাস বাদ দেয়ার জন্য?
যখন আল্লাহ বলছেন, এটার জন্য অপেক্ষা করো না, আমি তোমাকে একটি সুস্থ শরীর দিয়েছি। সুস্থ থাকা অবস্থাই তুমি খারাপ অভ্যাসটি ছেড়ে দাও।
কিছু লোক আল্লাহর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা কখনোই তার ইবাদত করে না। তখন, আল্লাহ কি করেন? তিনি তাদেরকে একটু সহযোগিতা করেন। সেই সহযোগিতাটা কি?
তিনি তাদেরকে এমন অসুস্থ করে দেন যে ডাক্তার ও তাকে সাহায্য করতে পারে না। তখন তারা বলতে বাধ্য হয় যে ‘ইয়া আল্লাহ’
তারা আল্লাহর কাছে প্রথমবারের মত হাত তুলে এবং নামাজে আসে। মাশাআল্লাহ! এটা কাম্য নয়। আমরা সত্যি ভাগ্যবান যে আমরা আল্লাহর কাছে হাত তোলার আগেই মৃত্যুবরণ করিনি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে আল্লাহর কাছে হাত তোলার জন্য (খারাপ) কিছু হওয়ার আগ পর্যন্ত কি আমাদের অপেক্ষা করা উচিৎ?
আল্লাহ এই জন্যই কৃতজ্ঞ হতে বলেছেন এবং শয়তান আমাদেরকে কুমন্ত্রনা দেবার আগেই তার সম্পর্কে জানতে বলেছেন যাতে করে আমারা বুঝতে পারি যে শয়তান কিভাবে আমাদেরকে বিপথে নিয়ে যায়।
যারা সারা জীবন ব্যভিচার করেছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন তারা এটি করে কী অর্জন করতে পেরেছে? যারা সারা জীবন পাপ (প্রতারনা, চুরি, মদ্যপান ... ইত্যাদি ) করে যাচ্ছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন তারা এটি করে কী অর্জন করতে পেরেছে?
তারা কি অর্জন করেছে? ক্ষণিকের আনন্দ- তাইতো? এখন আল্লাহ যদি আপনার সহায় হয়, তিনি আপনাকে এটি বলার সুযোগ দিবেন যে ‘ও আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন, আমি এ কাজ আর কখনোই করবো না’।
[embed][/embed]