আবদুল্লাহ তামিম: আলোচিত সতেরো বছরের ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমি ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার অপরাধে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত।
রামাল্লায় গত ২০ ডিসেম্বর তার বাড়িতে দুই ইসরায়েলে সেনা চড়াও হলে তামিমির সঙ্গে তাদের বিতর্ক বাঁধে এবং এক পর্যায়ে এক ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারেন ফিলিস্তিনি কিশোরী। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তামিমির ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর সে সারাবিশ্বে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপ করার বিষয়টি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার শেকেলস (ইসরায়েলি মুদ্রা) জরিমানা করা হয়েছে। হারেৎজ
তামিমির বিচার হয়েছে গোপন আদালতে। তার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনে ইসরায়েলের সামরিক আদালত। ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ তার মধ্যে একটি।
তামিমিকে গ্রেফতারের পর আন্তর্জাতিক বিশ্বে তার মুক্তির দাবি ওঠে। আমেরিকায় ইহুদি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তার মুক্তির দাবি তোলা হয়। বিভিন্ন সংগঠন তাকে জোয়ান অব আর্কের সঙ্গে তুলনা পর্যন্ত করে। অনলাইন প্রতিবাদে তার মুক্তির দাবিতে ১৭ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করে।
তামিমির পরিবারের ১০ জনকে ইসরায়েলি পুলিশ গ্রেফতার করে। তামিমির চাচাত ভাই মোহাম্মদ তামিমির মাথায় ইসরায়েলি সেনারা গুলি করলে সে গুরুতর আহত হয়।
তামিমি আদালতে দাবি করে গুলি বর্ষণকারী ওই একই ইসরায়েলি সেনা তার বাড়িতে এলে তাদের সঙ্গে বিতর্ক বাঁধে এবং এক পর্যায়ে তিনি তাদের চলে যেতে বললে তারা যেতে অস্বীকার করলে তামিমি তাকে চড় মারেন।
ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রতীক ১৬ বছরের এক কিশোরী