আবদুল্লাহ তামিম: বাংলাদেশের বইয়ের প্রধান ও অন্যতম হাট বাংলাবাজার। এখানেই রয়েছে ঢাকার পুরাতন সব বইয়ের দোকান। এখানে বাংলাদেশের প্রধান প্রকাশনা সংস্থাগুলোর প্রায় সবার বিক্রয় কেন্দ্র আছে। প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও রয়েছে সাধারণ বইয়ের দোকান।
আছে ইসলামি প্রকাশনা জগতের উৎস ইসলামি টাওয়ার। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে সরেজমিন দেখা গেল কেমন আছে বাংলা বাজারের প্রকাশনাগুলো। এ ঢাল মৌসুমে কেমন চলছে তাদের বেচা-কেনা।
ইসলামি টাওয়ারের আন্ডার গ্রাউন্ডে দারুল উলূম লাইব্রেরীর সিও মাওলানা শহিদুল ইসলামকে বর্তমান অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমাদের ব্যবসার মৌসুম রমজানের পর হলেও সারা বছরই ব্যবসা চলে কমবেশ। জেনারেল বইগুলো সাধারণ মানুষ ক্রয় করে।
দারুল উলূমের প্রকশনার ইসলাহী খূতুবাত ও খুতুবাতে যুলফিকার, মীম এ বইগুলো পাঠকের চাহিদা অনেক বেশি । তাছাড়া সামনে বেফাক ও হাইয়াতুল উলইয়ার পরীক্ষাকে সামনে রেখে বাংলা শরাহগুলো খুব চলছে।
ইযাহুল মুসলিম অনেক চাহিদা। এ মৌসুমে প্রায় পাঁচ হাজর কপি বিক্রি হয়েছে। আর আমরা আমাদের মৌসুমের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বই ব্যবসার লক্ষ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসুল সা, এর সুন্নত মনে করেই ব্যবসা করি। আমরা কওমির সন্তান। চাই কওমি অঙ্গনের পথ চলা যেনো দৃঢ় হয়। তাই আমরা আমাদের চেষ্টার শেষটা দিয়ে ভালো শিক্ষার গ্রন্থ উপহার দেয়ার চেষ্টা করি।
হাইয়াতুল উলইয়া বা বাংলাদেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষাকে সামনে রেখে বিভিন্ন কিতাবের শরাহ বিক্রি হচ্ছে মাওলানা নোমান রহ. এর প্রতিষ্ঠিত শিবলী প্রকাশনীতে।
হুজুরের শরাহ করা দাওরা জামাতের কিতাব দরসে তিরমিজি, শরহে নাসাই, শরহে ইবনে মাজাহ, শরহে বোখারি ইত্যাদি শরাহগুলোর চাহিদা খুব বেশি।
বর্তমান পরিচালক মাওলানা নাকীব মাহফুজ শিবলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাকে কিতাব দেয়ার যথাযথ চেষ্টা করছি। কারণ পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের শরাহগুলোর প্রচুর চাহিদা থাকে।
এমদাদিয়া লাইব্রেরীর কাছ দিয়ে যেতেই দেখা গেল দরসি কিতার বিক্রি না হলেও তাদের কুরআন শরীফের চাহিদা খুবই বেশি। কুরআন শরীফ বিক্রি হচ্ছে পুরো দমে। পাইকারীর পাশাপাশি খুচরাও বিক্রি হচ্ছে।
তবে এ মৌসুমে বাংলা বাজারের ফুটপাত থেমে আছে। বিক্রেতাদের গপ্প সপ্প করা ছাড়া কাজ নেই। বাংলা বাজার ঢুকতেই পথের পাশে দেখা গেল এক মুরব্বি পত্রিকা পড়ছেন বসে বসে।
গেলো বছরের জেনারেল পরীক্ষা শেষের পথে তাই এখন আর পুরাতন গাইডগুলোর প্রয়োজন নেই।
বাংলা বাজারের এ দৃশ্য আর কিছুদিন পরই পাল্টে যাবে। দেখা যাবে ভিন্ন দৃশ্য। ক্রেতার ভিরে নিঃশ্বাস ফেলতে ভুলে যাবে ক্রেতারা। এ জগতের মৌসুম শুরু হয়ে যাবে রমজান থেকেই।
সব মিলিয়ে হাদীসের কিতাবের সংখ্যা কত?