আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও পদত্যাগ করছেন। বুধবার তাঁর কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হলেও পদত্যাগের কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখিয়ে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত থিন কিয়াও ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্তমানে তার বয়স ৭১ বছর।
দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। ২০১৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি এই বিজয় পায়।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে থিন কিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি সুচির-ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে বিজয়ের পরপরই থিন কিউ বলেন, ‘এ বিজয় বোন সু চির’।
তবে থিন ছিলেন মূলত আনুষ্ঠানিক প্রেসিডেন্ট। কার্যত প্রেসিডেন্টের মূল দায়িত্ব পালন করছেন সু চিই।সেসময় সেনাবাহিনীর তৈরি সংবিধানে বিধিনিষেধ থাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি এনএলডি নেত্রী সু চি।
তবে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও সু চির সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হবে। আর সে পর্যন্ত ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মিন্ট একজন সাবেক জেনারেল।