আবদুল্লাহ তামিম: মহানবী মুহাম্মাদে আরাবি সা. হেদায়াতের আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। পৃথিবীর সব জায়গায় ইসলামের আহ্বান পৌঁছে দেওয়া তাঁর দায়িত্ব ছিল।
হুদায়বিয়ার সন্ধির পর কুরাইশ ও অন্যান্য আরব গোত্রগুলো থেকে আশ্বস্ত হয়ে তিনি এ কাজে মনোনিবেশ করেন। সে সময়ে পৃথিবীর প্রধান রাজশক্তিগুলো ছিল ইউরোপের রোম সাম্রাজ্য, এশিয়ার পারস্য সাম্রাজ্য এবং আফ্রিকার হাবশা সাম্রাজ্য।
এছাড়াও মিশরের 'আজিজ মুকাউকিস', ইয়ামামার সর্দার এবং সিরিয়ার গাসসানী শাসনকর্তাও বেশ প্রতাপশালী ছিল। তাই ষষ্ঠ হিজরির জিলহজ মাসের শেষদিকে একইদিনে এদেঁর কাছে ইসলামের আহ্বানপত্রসহ ছয়জন দূত প্রেরণ করেন।
প্রেরিত দূতগণের তালিকা
০১. বাহরাইনের শাসক মুনজিরের নিকট প্রেরিত চিঠি
০২. দাহিয়া কালবি কে রোমসম্রাট কায়সারের (হিরাক্লিয়াস বা হিরাকল নামে অধিক পরিচিত) কাছে।
০৩. আবদুল্লাহ বিন হুযায়ফা আস-সাহমিকে পারস্যসম্রাট কিসরা বা খসরু পারভেজের (খসরু ২) কাছে।
০৪. হাতিব বিন আবু বুলতা'আ কে মিশরের (তৎকালীন আলেকজান্দ্রিয়ার) শাসনকর্তা মুকাউকিসের কাছে।
০৫. আমর বিন উমাইয়া কে হাবশার রাজা নাজ্জাশির কাছে।
০৬. সলিত বিন উমর বিন আবদে শামস কে ইয়ামামার সর্দারের কাছে।
০৭. শুজা ইবনে ওয়াহাব আসাদি কে গাসসানী শাসক হারিসের কাছে।
০৮. আল আলা আল হাদরামিকে বাহরাইনের শাসক মুনজির ইবন সাওয়া আল তামিমি'র কাছে।
০৯. শাসকদের মধ্য হতে বাদশাহ নাজ্জাসি ও মুনজির ছাড়া আর কেউ তখন ইসলাম গ্রহণ করেন নি।
সূত্র: ইউকিপিডিয়াম, সীরাতে মোস্তফা