আওয়ার ইসলাম: একটি সেতুর জন্য ৩৮টি গ্রামের মানুষের চলছে হাহাকার! ভোট এলে মেলে আশ্বাস। ভোটের পর আর কারও দেখা পায় না এই গ্রামের মানুষ। গর্ভবতী নারীসহ শিশুদের জরুরি চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে না পারায় এই অঞ্চলে বেড়েছে মৃত্যুঝুঁকি। কমছে শিক্ষার হার।
নদী পারাপারের ভয়ে অনেকেই অল্প বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে অন্য কাজে লেগে যাচ্ছেন। ফলে লেখাপড়া আর উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩৮টি গ্রামের শিক্ষার্থীরা।
সদর উপজেলার কাজিরবাজার সংলগ্ন প্রায় ৬০০ ফুট প্রস্থ মনু নদীতে একটি সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষায় নৌকা আর শীতে সাঁকো পারাপার করছে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীসহ লক্ষাধিক মানুষ।
এই একটি সেতুর অভাবে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে ওই তিনটি উপজেলার ৩৮টি গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের অভাবে লেখাপড়া ও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার মুখে। প্রতি বছর বর্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নৌকা ডুবে যায়। নদী পারাপারের ভয়ে অনেকেই অল্প বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে অন্য কাজে লেগে যাচ্ছেন।
ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীকে স্বাধীনতার পর থেকে যখন যে সরকার ক্ষমতায় গেছে তারাই আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কেউই কথা রাখেনি। বর্ষকালে রাতের বেলায় নদী পারাপারে নৌকা মেলে না। তাই দূর-দূরান্ত থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
এইচজে