আওয়ার ইসলাম: কার দোষ বোঝা যাচ্ছে না। হতে পারে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের ‘ফোর্থ হ্যান্ড’ বিমান ব্যবহারের বলি হয়েছে এতগুলো প্রাণ।
কিংবা দায়ী করা যেতে পারে, ত্রিভূবন বিমান বন্দর কতৃপক্ষকেও। তবে, একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে বিমানে কর্তব্যরতদের মধ্যে কেউ নিজেদের দায়িত্বের প্রতি কোনো রকম অবহেলা করেননি।
এখানে আলাদা করে বলতে হয় পৃথুলা রশিদের কথা। সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের তরুণ বৈমানিক, দুর্ঘটনায় তাঁর জীবনের প্রদীপ নিভে গেছে। যদিও, যাওয়ার আগে নিজের জীবনের সাথে বাজি রেখে হলেও তিনি প্রাণ বাঁচিয়েছেন ১০ নেপালির।তাঁরা সবাই এখন বেঁচে আছেন, নেই কেবল পৃথুলা।
ওই ১০টা মানুষ আজীবন মনে রাখবে এই পৃথুলাকে, প্রতিটা দিন তাঁর সেই আত্মত্যাগকে একটি বারের জন্য হলেও স্মরণ করবে। যাত্রীদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় প্রিথুলার।
পৃথুলাকে নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।