বায়োডেটা লেখার সঠিক পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন? বিজনেস মিটে কি পোশাক পরবেন বুঝতে পারছেন না? চিন্তা করবেন না, এ সমস্যা থেকে দূর করতে কথা বলেছেন ইমেজ কন্সাল্টেন্ট।
আপনি যখন প্রথমবার চাকরির জন্য যখন বায়োডেটা লিখতে যাবেন তখন আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মখীনে পড়তে হতে পারে।ইন্টারভিউয়ের জন্য যখন আপনি বায়োডেটা বানাবেন তখন আপনার রেজিউমেই কিন্তু আপনার ব্যাপারে কিছু প্রাথমিক ধারনা তৈরী করে দেবে।
রেজিউমে লেখার আগে কোন কোম্পানির জন্য আবেদন করতে চান,তার একটি তালিকা তৈরী করে নিন।এবার সেই নির্দিষ্ট কোম্পানিগুলোতে আবেদন পাঠান।শুরুতেই কিছুটা ক্যারিয়ারের ব্যাপারে লিখে দিন।সেখানে নিজের সম্পর্কে হালকা পাতলা লিখা দেন।এ বিষয়টা পরীক্ষা কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
এরপর আপনি আপনার কাজের অভিজ্ঞতাগুলো লিখুন।শুরুতেই লিখুন আপনি বর্তমানে যেখানে চাকরি করছেন।তারপর একে একে আপনার আগের কাজের অভিজ্ঞতা গুলো উল্লেখ করুন।এই অভিজ্ঞতা গুলো পরীক্ষা কর্তাদের আরোও আকর্ষন করবে।
এখানে আপনি আপনার বিশেষ কোনও আচিভমেন্টের কথা উল্লেখ করবেন।একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন বায়োডেটা বা রেজিউমে নিখুত হওয়া প্রয়োজন।সঠিক ফর্ম্যাটিং,নির্ভুল ব্যাকরণ,সঠিক বানান এসবের দিকেও আপনি গভীরভাবে খেয়াল রাখবেন।
বায়োডেটা একদম উপরের দিকের কোনায় আপনার নাম ও ফোন নাম্বার যেন অবশ্যি উল্লেখ থাকে।কারন এটাই আপনার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।আপনার ছবিও আটাচ করে পাঠাতে পারেন।কর্পোরেট চাকরির ক্ষেত্রে মনে করে কভারিং লেটার পাঠাবেন।
কোম্পানি ওয়েবসাইট থেকে হিউম্যান রির্সোস ম্যানেজারের নাম ও পরিচিতি জেনে নিন।এটাতে আপনারই লাভ হবে।আপনি সহজেই খুব ভাল ভাবে সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।বায়োডেটা এক পাতার বেশি না হওয়াই বাঞ্জনীয়।
আপনি যদি সরাসরি না গিয়ে যদি ই-মেইল এর মাধ্যমে বায়োডেটা পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই কভারিং লেটারে লিখে বায়োডেটা আটাচ করে সেন্ড করুন।
বিশেষ কিছু টিপস
# ফর্মাল মেল করতে হলে অতিরিক্ত কথা লিখবেন না।ই-মেল যেন টু-দ্য-পয়েন্ট হয়।প্রয়োজ়ন ছাড়া কোনও অতিরিক্ত ফাইল আটাচ করবেন না।
# বানান ও লেখার ভাষা সম্বন্ধে সচেতন থাকবেন।কথ্য ভাষায় লিখলেই ভাল হয়।কোনও অফিসিয়াল মেলের ক্ষেত্রে সঠিক ফর্ম্যাটিং খুব জরুরি।
# প্রয়োজন না থাকলে ‘প্রায়োরিটি অপশন’ব্যবহার করবেন না।অফিসিয়াল মেলের ক্ষেত্রে সাবজেক্টের জায়গাটা ফাঁকা রাখবেন না।কোনও ভাবেই ই-মেল যেন অসম্পূর্ন না দেখায়।
সূত্র : ইয়ুথ কার্নিভাল