আফসানা মীম: বিশ্ব নারী দিবস ,প্রতিটা সোস্যাইল মিডিয়াতে দেখছি নারীদেরকে জানানো হচ্ছে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা ।
সমাজের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে এ সম্মান ও শুভেচ্ছা যেন নারীকে দেখানো নয় নারীর বেশভুসা, আধুনিকতা ,অশ্লিলতা ও ধর্মহিনতাকেই করা হচ্ছে। তাদের কে যেন নারী দিবসের শুভেচ্ছার আহ্বানে মুখরোচক সম্মানের সুরে আধুনিকতা ও পুরুষের সম অধিকারের নামে রাস্তার চত্বরে বিলবোর্ড বানানো হচ্ছে ।
সমাজের হীনতম পণ্য বনাতে চাচ্ছে তাদের। ঘরের নারীকে রাস্তায় এনে ইজ্জত লুটে নেয়ার স্বপ্নে বিভোর একদল হায়নার পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে আমাদের সমাজের মেয়েরা।
এখন আর বোকা বনে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর কতকাল ভোগবাদিদের ভোগের বস্তু হবে তোমরা। আর কতকাল নিষ্পেসিত হবে নির্যাতনের যাতা কলে। এসো ইসলামের সৌন্দের্যের দিকে। এসো সুমহান আল কুরআনের দিকে। যেখানে নারীদের দিয়েছে আকাশসম মর্যাদা।
মার্তৃত্বের সম্মানে নারীদের আসন সীমাহীন গৌরবের জায়গায় রেখে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘জননী সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেন এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার (আল্লাহর) প্রতি এবং তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই কাছে।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৪)।
তাইতো নারীদের সম্মান করতে কোনো দীবসের প্রয়োজন নেই। নারীর সম্মান প্রত্যেকটি মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া মানব সন্তানের জন্য অপরিহার্য্য।
অথচ আজ সৌন্দর্যের মহরাতে পন্য করা হচ্ছে নারীদেরকে সমাজের প্রতিটা পদে পদে । নারী যদি হয় পন্য তবে শুভেচ্ছা কার জন্য ? যেখানে সারা বিশ্বে অর্থব্যবস্থার অর্ধেক আয় নারীদের শ্রম ,মেধা, ধর্মহিনতা আর অশ্লিলতা দিয়ে অর্জিত সেখানে শুভেচ্ছা কি নারীর জন্য ? যদি নারির সন্মানে বিশ্ব পালন করবে এই নারী দিবস তবে কেন সারা বিশ্বে নারীরা হচ্ছে ধর্ষিতা আর নির্যাতিতা। আজ বিশ্বে নারীর নারীত্ব বিসর্জনে হয়েছে নারী দিবস ।
যেন এই আধুনিক ধর্মান্ধ নারীদের জন্য এই নারী দিবস । কিন্তু আমাদের ইসলামিক জীবন ব্যবস্থায় নারী চির সম্মান চির শ্রদ্ধার একটি নাম যাকে শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছা জানাতে কোন দিবসের প্রয়োজন হয় না।