মুজাহিদুল ইসলাম: জাতিসংঘ-ঘোষিত ও রাশিয়া কর্তৃক নির্ধারিত দৈনিক সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি লংঘন করে বাশারপ্রশাসনসহ খোদ রাশিয়া মঙ্গলবার নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে এক শিশুসহ ১২ জন নিহত হয় এবং প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলো বাশারপ্রশাসন, রাশিয়া ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লংঘনের অভিযোগ করছে।
অন্যদিকে বাশারপ্রশাসন, রাশিয়া ও বিরোধী সশস্র গোষ্ঠীগুলো পূর্ব গৗতার বেসামরিক মানুষদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য করা ‘মানবিক বহির্গমন রুট’এর ওপর হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।
মস্কে জানায়, তারা সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি সিরীয় বিরোধীদেরকে বেসামরিক ব্যক্তিদের আটকে রেখে পরিস্হিতিকে জটিল করার অভিযোগ করেন।
আরো বলেন, ‘মানবিক বহির্গমন রুট’ কার্যকর করাটা বিরোধীদের আচরণের ওপর নির্ভর করছে।
রাশিয়ার রিকাউন্সিলিং সেন্টার পূর্ব গৌতা নিয়ন্ত্রণকারী জায়সুল ইসলাম, আহরারুশ শাম, ফায়লাকুর রহমান ও জাবহাতুন নুসরাহকে গৌতার বেসামরিক মানুষদের বাধাপ্রদান ও পণবন্দীহিসেবে রাখার অভিযোগ করে।
রাশিয়ার রিকাউন্সিলিং সেন্টার আরো বলেছে, মঙ্গলবার সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথে ‘মানবিক বহির্গমন রুট’ এর ওপর যোদ্ধাদের অঞ্চল থেকে বাইশটি রকেট ছোড়া হয়, যা জায়সুল ইসলামসহ অন্যান্য গোষ্ঠী অস্বীকার করে।
পূর্ব গৌতা নিয়ন্ত্রণকারী জায়সুল ইসলাম বাশারপ্রশাসন, রাশিয়া ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে পূর্ব গৌতা ধংসের জন্য জাবহাতুন নুসরাহ’র উপস্হিতিকে ছুতা হিসেবে ব্যাবহারের অভিযোগ করে।
যদিও ইতোমধ্যে গৌতার যোদ্ধারা জাবহাতুন নুসরাহ, হাইআতু তাহরিরিশ শাম ও আল কায়েদাকে আগামী পনের দিনের মধ্যে বের করে দেবে, এ মর্মে জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তাপরিষদের প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছে।
অন্যদিকে শাবাকাতু শাম জায়সুল ইসলামের চিফ অব স্টাফের মূখপাত্রের সূত্রে জানায়,মঙ্গলবার সকালে বাশারপ্রশাসনের সৈন্যরা গৌতায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ৩৬ জন নিহত হয়।
সূত্র: আলজাজিরা আরবি