আওয়ার ইসলাম
ইসরাইলের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেরুজালেমের অন্যতম বড় গির্জা ‘সেপালকা গির্জা’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে খ্রিস্টান ধর্মের নেতারা। ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে নেয়া তাদের এই প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশ করেছে জর্ডান ও ফিলিস্তিন সরকার।
রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গির্জা বন্ধের এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রোমান ক্যাথলিক, আর্মেনীয় ও গ্রিক অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের তিন সম্প্রদায়ের নেতারা যৌথভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে এখানে পরিকল্পিত অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস সেপালকা গির্জার স্থানটিতেই যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে সমাহিত করা হয়েছিল।
এ পবিত্র গির্জায় প্রতি বছর লাখ লাখ তীর্থযাত্রীর আগমন ঘটে। জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল মোমানি বলেন, জেরুজালেমের পবিত্র গির্জার সঙ্গে আমরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।
২০১৩ সালে জর্ডান ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জেরুজালেমের খ্রিস্টান ও মুসলিম পবিত্র স্থানগুলোর জিম্মাদার।
মোমানি বলেন, ইসরাইল আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। তিনি গির্জার বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
গির্জার নেতারা বলেন, কয়েকটি বিষয় মাথায় নিয়ে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরাইলের পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। তাতে ইসরাইলি রাষ্ট্র গির্জার সম্পত্তি প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ইজারা দিতে পারবে। এ ছাড়া ইসরাইল সরকার গির্জার সম্পত্তির ওপর কর বসানোর পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা