আওয়ার ইসলাম : বাড়িতে অনেক লোক আছেন। কিন্তু মশা যেন আর কাউকে না দেখে শুধু আপনাকেই দেখছে। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ আপনি প্রায়ই ভাবেন, মশা কেন আপনাকেই এত ভালোবাসে!
কিছু মানুষকে মশা একটু বেশিই কামড়ায়। রুমে একটি মশা থাকলেও তার অস্তিত্ব টের পেয়ে যান তারা। এর পেছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ আছে। জেনে নিন কারণগুলো।
ব্লাড গ্রুপ ‘ও’
খাবারের ক্ষেত্রে মানুষের যেমন পছন্দ থাকে, তেমনই মশারও কিন্তু আছে। মেডিক্যাল এন্টোমোলজি জার্নালের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে মশা টাইপ ‘ও’ রক্তের প্রতি বেশি দুর্বল। অর্থাৎ ‘ও’ পজিটিভ বা ‘ও’ নেগেটিভ রক্তের গ্রুপ হলে মশা তাদেরকে বেশি কামড়ায়।
বিয়ার পান করলে
পশ্চিম আফ্রিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বিয়ার পান করেন, তাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়। বিশেষ করে মাত্রই বিয়ার বা অ্যালকোহল পান করে এলে তাদেরকে মশা বেশি কামড়ায় বলে বলা হয়েছে গবেষণায়। জাপানের একটি গবেষণাতেও গবেষক হ্যারিংটন একই তথ্য পেয়েছেন।
ঘাম
ব্যায়াম করার পরে শরীরের ঘামের সঙ্গে ল্যাকটিক এসিড নির্গত হয়। এই উপাদানটি মশাকে আকর্ষণ করে। গবেষক কনলনের মতে, ব্যায়ামের পরে শরীরের উষ্ণতাও মশাকে আকর্ষণ করে। ফলে ব্যায়াম করার পরে মশা কামড়ানোর পরিমাণ বেড়ে যায়।
কার্বন ডাই অক্সাইড
যাদের নিশ্বাসের সঙ্গে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় তাদেরকেও মশা বেশি কামড়ায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই বয়স্কদের মশা বেশি কামড়ায়।
গর্ভধারণ
২০০২ সালে ল্যানসেট এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে (২৮ সপ্তাহের পরে) শরীর থেকে ২১% বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। তাই গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে মশা কামড়ানোর পরিমাণও বেড়ে যায়। ফক্স নিউজ/চ্যানেল আই।