আওয়ার ইসলাম: ঐতিহ্যবাহী খুলনা আলিয়া মাদরাসা। আজ থেকে ৬৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজও জাতীয়করণ করা হয়নি।
অথচ খুলনা আলিয়া মাদরাসাটি জাতীয়করণ করা হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশের মধ্যে ইসলামি শিক্ষায় একটি আদর্শ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এমনটাই বলছেন ওখানকার জনসাধারণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রিটিশ শাসনের অবসানের মাত্র পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালের ২ এপ্রিল নগরীর খানজাহান আলী রোডের পাশে ৫একর ৩৯শতক জমির ওপর খুলনা আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে মক্তবভিত্তিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠলেও পর্যায়ক্রমে দাখিল (এসএসসি), আলিম (এইচএসসি), ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি বিষয়ে অনার্স কোর্স রয়েছে। আরবি শিক্ষার পাশাপাশি এ মাদরাসায় কামিল শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, পৌরনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এবং আলিম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগসহ কারিগরি ও কম্পিউটার বিষয়েও ছাত্রদের পাঠদান করানো হয়। এর পরও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হচ্ছে না।
অথচ খুলনা আলিয়া মাদরাসাকে জাতীয়করণের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২১ জানুয়ারি এবং ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভায় তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে খুলনা আলিয়া মাদরাসাকে সরকারিকরণ করা হবে’।
তাঁর ওই প্রতিশ্রুতির পর দীর্ঘ ২২ বছরেও এই মাদরাসাটি জাতীয়করণ করা হয়নি।
মাদরাসাটির বর্তমান ছাত্র সংখ্যা দুহাজারের উপরে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ছাত্রাবাসে অবস্থান করছে অন্তত সাড়ে তিনশ ছাত্র। এর মধ্যে মাত্র ২০জন তাদের নিজস্ব অর্থে চললেও বাকি ছাত্রের তিন বেলা খাবার দিতে হয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে।
বাংলাদেশে যেভাবে আলিয়া মাদরাসার গোড়াপত্তন