উবায়দুল্লাহ সাআদ
বিশেষ প্রতিবেদক
কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের নব গঠিত কমিটি বাতিলসহ ৬ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইত্তেফাকুল উলামা পরিষদ।
বেফাকের কমিটিতে গঠনতন্ত্র মানা হয়নি এমন অভিযোগে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ থেকে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড়ে জামিয়া ইসলামিয়ায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ছয় শতাধিক কওমি মাদরাসার মুহতামিম উপস্থিতিত হয়েছেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ইত্তেফাকুল উলামা কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিশে আমেলার সভাপতি ও বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী।
বৈঠকে ময়মনসিংহের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করেন। এগুলো হলো-
১. বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার কথিত ১০ ম কাউন্সিলের কার্যক্রম গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক না হওয়ায়, কাউন্সিল বাতিল করে নতুন কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা।
২. গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অনুমদন বিধি মোতাবেক না হওয়ায় পুনরায় গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অনুমদন করা।
৩. মজলিশে খাসসা নামে কার্যকরি পরিষদের সংক্ষিপ্ত পরিষদ বাতিল করা।
৪. বিগত সময়ে মজলিশে খাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত গ্রহিত সব সিন্ধান্ত পূনর্বিবেচনার আওতায় আনা।
৫. প্রতি জেলার মাদরাসার বেফাকভুক্ত মাদরাসার সংখ্যানুপাতে সুরা ও আমেলার সদস্য নিয়োগ করা।
৬. আমেলায় সদরে মুহতারাম- পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে বেফাকের জন্যে দীর্ঘকাল ত্যাগ প্রদানকারী ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেয়া।
বৈঠকে কর্মসূচি ঘোষিত হলে, উপস্থিত ছয় শতাধিক মুহতামিম সমর্থন জানান।
এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি অল্প সময়ের মাঝেই ঘোষিত হবে বলে আওয়ার ইসলাম কে জানিয়েছেন ইত্তেফাকুল উলামা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা আমীর ইবনে আহমদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসায় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের দশম কাউন্সিল অনুষ্ঠত হয়। এতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল কুদ্দুস।
বেফাকের অধীনে ইফতার পরীক্ষা: আদৌ কী সম্ভব?