আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক: কিডনি শরীরের একটি প্রধান অঙ্গ বৃক্ক বা কিডনি। এটি মূলত রেচন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করলেও প্রধানত দেহের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত থেকে দূষিত বর্জ্য পদার্থগুলো ছেঁকে বের করে দেয়।
কিডনি বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হয়। যা শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকি। কি করে বুঝবেন আপনার কিডনি রোগাক্রান্ত কি না? কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে।
খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি।
প্রস্রাবে পরিবর্তন, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, দেহে ফোলা ভাব, মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া, সবসময় শীত বোধ হওয়া, ত্বকে র্যাশ হওয়া, বমি বা বমি বমি ভাব, ছোটো ছোটো শ্বাস, পেছনে ব্যথা।
যদি উপরোক্ত লক্ষনগুলো আপনার থেকে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান, পরীক্ষা করুন।
যদি আসলেই আপনার কিডনি রোগাক্রান্ত হয় তাহলে ঔষধ-পত্র বুঝে নেয়ার পাশাপাশি একটু নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে আপনাকে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হতে হলে অবশ্যই আগে খাবার তালিকা করে নিতে হবে এবং জানতে হবে তিনি কী খাবেন আর খাবেন না।
কিডনি রোগীরা কি খাবে এবং কি খাবেন না কিডনি রোগ সবসময় একটি প্রানঘাতী রোগ হিসাবে পরিচিত, এই রোগে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। কিন্তু একটু সতর্কতা ও রোটিন অনুযায়ী খাবার খেলে এর হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
কিডনি রোগীরা তাদের দৈন্দিন পরিচালনার জন্য খাদ্য তালিকা বা রোটিন অনুযায়ী খাবার খাবার খেতে হবে। নিছে তাদের খাবার দাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেসব খাবার খাবে… সবজি: লাউ, চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাটা শাক, লাল শাক, কাচু শাক, জিংগা, পেপে হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি।
যেসব সবজি খাবে না… ফুল কপি, বাঁধা কপি, পালং শাক, কচু, মূলা, পুইশাক, ঢড়স, গাজর, কাঠালের বিচি, শীমের বিচি, মূলাশাক ইত্যাদি।
প্রানিজ আমিষ, যেমন:- মাছ, মাংশ, দুধ, ডিম ইত্যাদি সীমিত পরিমানে খাবে। ডাব, কলা, আঙ্গুর তো একে বারেই খাবে না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমান বেশি।
কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকে। কম পটাশিয়াম যুক্ত ফল যেমনঃ আপেল, পেয়ারা, পাকা পেপে, নাসা পাতি ইত্যাদি।
রোগীর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে রোগের উপর মাত্রার উপর ভিত্তি করে।
যেমন: রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলেও সপ্তাহে কয়টা করেন তার উপর নির্বর করে প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারন করতে হবে।
যেমন: কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিকেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন ০.৫-০.৮ গ্রাম। এবং গুরুত্বর রোগীর জন্য ০.৫ গ্রাম।
উপরোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরী করলে খাবার খেলে কিডনি রোগ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভাব।
সুস্থ হতে হলে, আপনার কিডনিকে সর্বদা সচল রাখতে হলে নিয়ম মতো ঘুম, চলাফেরা আর খাওয়াটা রুটিন মাফিক চালিয়ে যেতে হবে।
এসএস/