মাহমুদ আবদুল্লাহ: একইদিনে প্রয়াত বাংলাদেশের দুই খ্যতিমান আলেম জামেয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মিরপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও জমিয়তের সহ সভাপতি, লেখক ও গবেষক বীরমুক্তিযোদ্ধা আল্লামা মোস্তফা আজাদ ও হযরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর জৈষ্ঠপুত্র, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক আমীরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার বাদ এশা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আলেমদ্বয়ের ছাত্র, ভক্তসহ যাত্রাবাড়ি মাদরাসার প্রায় চার হাজার ছাত্র-উস্তাদ উপস্থিত ছিলেন।
যাত্রাবাড়ি মাদরাসার শিক্ষাসচিব আল্লামা আহমদ ঈসা বলেন, আজ মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে বাংলাদেশের দুই আলেম ইন্তেকাল করেছেন। আমরা তাঁদের জন্য দোয়া করবো। সেই সঙ্গে দোয়া করবো তাঁদের পরিবারের সবাইকে যেনো আল্লাহ তাআলা সবরে জামিল এখতিয়ারের তাওফিক দান করেন।
এর আগে জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর, গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান আলেমদ্বয়ের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন,আল্লামা মোস্তফা আজাদ বাংলা ভাষায় অধিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং বিশুদ্ধভাবে কথা বলে সবেইকে মুগ্ধ করে তুলতেন খুব সহজেই।
তিনি ইসলাম, মানবতা ও দেশের জন্য সবসময় কজ করেছেন। মাতৃভূমির ভালোবাসায় তিনি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দীনের খেদমতের পাশাপাশি সুস্থ সমাজ বিনির্ণমানেও কাজ করেছেন।
আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, আল্লামা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ খুবই সৎসাহসী ব্যক্তি ছিলেন। তাকওয়া ও পরহেজগারীতে তিনি ছিলেন খুবই অনন্য। খেলাফত আন্দোলনের আমীর হিসেবে তিনি ছিলেন সত্য প্রকাশে নির্ভীক। তার মৃত্যুতে জাতি এক প্রথিতযশা আলেমকে হারাল। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন।
মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ শুক্রবার সকাল ৭ টা৩০ মিনিটে রাজধনীর ধানমন্ডির শংকর এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
এবং মাওলানা মোস্তফা আজাদ একইদিনে বেলা ১০টায় ঢাকার ওরিয়ন জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
যাত্রাবাড়ি মাদরাসার শিক্ষাসচিব আল্লামা আহমদ ঈসা’র মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দোয়া অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বাংলার দুই বুজুর্গ আমাদের এতিম করে গেলেন