রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
চীনের এক রহস্যময় গ্রাম, যেখানে সব বাড়িই রয়েছে মাটির তলায়। প্রায় ২০০ বছর ধরে ওই বাসিন্দারা মাটির তলাতেই বাড়ি তৈরি করে থাকে। পরপর লাইন দিয়ে রয়েছে এরকম অন্তত হাজার দশেক ঘর। সেখানে এখনও বসবাস করেন প্রায় ৩,০০০ মানুষ।
চীনের হেনান প্রদেশের কাছে রয়েছে এই ঘরগুলো। ৩০০০ লোক বাদে বাকিরা ওই বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে। এই ধরনের ঘরগুলোকে বলা হয় ‘ইয়ায়োডং’। এই চিনা শব্দের অর্থ হলো 'গুহার ঘর'। অন্তত ছয়টি প্রজন্ম এরকম বাড়িতে বসবাস করেছে।
জানা যায়, ২০০ বছর আগে থেকে বর্তমান বাসিন্দাদের পূর্বপুরুষরা মাটির নিচে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করে।
ঘরগুলো মাটি থেকে ২২-২৩ ফুট গভীর তৈরি। এগুলি লম্বায় ৩৩ থেকে ৩৯ ফুট পর্যন্ত হয়। মাটির তলায় এই ঘরগুলির তাপমাত্রা শীতকালে ১০ ডিগ্রী ও গ্রীষ্মে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে না।
ইতিহাসবিদদের মতে, 'হেনান প্রদেশের এই ঘরগুলো ২০০ বছর আগে তৈরি হলেও ব্রোঞ্জ যুগে চিনের পার্বত্য এলাকায় ৪০০০ বছর আগে এ ধরণের বাড়ি তৈরি হতো।
বর্তমানে চীনের এই গ্রামটিতে বিদ্যুতের সকল সুযোগ সুবিধাসহ সব আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, 'ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এই ঘরগুলো। ২০১১ সাল থেকে সরকার এই গ্রামটিকে সংরক্ষণ করছে।
সম্প্রতি এই ঘরগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত খরচে গ্রামটির ঘড় ভাড়া বা ক্রয়ও করতে পারে যে কেউ। একমাসের জন্য এখানকার একটি ঘর ভাড়া পাওয়া যায় মাত্র ২ ইউরোতে। আর ৩২ হাজার ইউরোতে কেনা যাবে এই ঘরগুলো।