হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: জামেয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মিরপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও জমিয়তের সহ সভাপতি, বিশিস্ট লেখক ও গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা মুস্তফা আজাদ ও বর্ষীয়ান আলেম আল্লামা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর, গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, আল্লামা মুস্তফা আজাদ বাংলা ভাষায় অধিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং বিশুদ্ধভাবে কথা বলে সবেইকে মুগ্ধ করে তুলতেন খুব সহজেই।
তিনি ইসলাম, মানবতা ও দেশের জন্য সবসময় কজ করেছেন। মাতৃভূমির ভালোবাসায় তিনি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দীনের খেদমতের পাশাপাশি সুস্থ সমাজ বিনির্ণমানেও কাজ করেছেন।
তার আমল, আখলাক ও তবিয়ত নিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমল ও আখলাকের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। খুবই দরদী মানুষ ছিলেন। দুঃখ দুর্দশা গ্রস্হ, গরিব নিঃস্ব, এতিম, অসহায় ও বিপদগ্রস্হ মানুষের প্রতি তার ছিল অধিক পরিমাণ দয়া মায়া ও করুনা।
আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, আল্লামা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ খুবই সৎসাহসী ব্যক্তি ছিলেন। তাকওয়া ও পরহেজগারীতে তিনি ছিলেন খুবই অনন্য। খেলাফত আন্দোলনের আমীর হিসেবে তিনি ছিলেন সত্য প্রকাশে নির্ভীক। তার মৃত্যুতে জাতি এক প্রথিতযশা আলেমকে হারাল। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন।
তিনি মহান আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে বলেন, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দান করুক।
তিনি তাদের পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে বরেণ্য দুই আলেমের বিদায়