মাওলানা আবদুল গফফার
আগামীকাল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় কর্মী সম্মেলন।
এই সম্মলন জাতিকে নতুন বার্তার জানান দেবে।
সম্মেলনের ২ দিন পূর্ব থেকে দূর দূরান্ত থেকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠের দিকে জমিয়তের সাথীরা রওনা হয়ে গেছেন।
ইতিমধ্যে ইউরোপ থেকে এসেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপের সিনিয়র সহ সভাপতি শায়খ মাওলানা আবদুল আজীজ সিদ্দীকী, তাকে গতকাল সিলেট বিমান বন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সম্মেনের আয়োজকরা।
একুশে বইমেলার সব বই ঘরে বসে কিনতে অর্ডার করুন রকমারিতে
ইতিপূর্বে পৌছেছেন মাওলানা কারী আবদুল হাফীজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামনূন মুহীউদ্দীনসহ অনেক।
সিলেটে অবস্থান করছেন ইউকে জমিয়তের প্রধান পৃষ্টপোষক শায়খ মাওলানা আসগর হোসাইন, সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমদ, সহ সভাপডি মাওলানা আবদুল মুনতাকীম, ট্রেজারার মাওলানা হাফিজ হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
গতকাল চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা থেকে কয়েকটি কাফেলা সিলেট পৌছে গেছে। রাস্তায় আছে আরো কয়েকটি কাফেলা।
আজ সকাল থেকে ট্রেনেও অনেক কাফেলা রওনা হচ্ছে। রাতের ট্রেনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি দল রওনা হবে।
আগামীকাল ভোররাত ৪ টায় ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়িবহর রওনা হবে। এ দলে রাহবার হিসেবে থাকবেন সিলেটরত্ন শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক।
আজ কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়ার নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল সিলেট যাওয়ার কথা।
আগামীকাল দুপুরে বিমানে যাচ্ছেন দলের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী। তাদের মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করবে সিলেট জমিয়ত।
এদিকে সম্মেলন সফলে নেতা কর্মীদের চোখে ঘুম নেই। হাটে মাঠে শহরে বন্দরে, গ্রামে গঞ্জে, পাড়ায় মহল্লায় চলছে জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত নেতা কর্মীদের বিরামহীন প্রচারণা।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে গতকাল হয়ে গেল সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়।
এ দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর জমিয়তের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিরাট প্রচার মিছিল।
প্রচার উপ কমিটির দায়িত্বশীলরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খুব ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
ঐতিহাসিক এ সম্মেলনকে সফল, স্বার্থক ও স্বরণীয় করে তুলতে প্রচার উপকমিটির দায়িত্বশীলরা দিন রাত মেহনত করে যাচ্ছেন।
আলিয়া মাঠ ঘিরে লাগানো হচ্ছে তিন শতাধিক ফেস্টুন। পেন্ডেলের ভেতরে এবং বাইরে থাকছে জমিয়তের দলীয় পাচ শতাধিক উকাব/পতাকা। তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন শাখা প্রশাখার নামে গেঞ্জি, ক্যাপসহ অনেক আকর্ষণীয় কিছু।
চার স্তরের সু সজ্জিত মঞ্চ ও সু বিশাল পেন্ডেলে বসানো হবে আট হাজার চেয়ার। থাকছে ভিআইপি গ্যালারি, সাংবাদিক গ্যালারি, লাল গালিচা। ফুলে ফুলে সাজানো হবে পুরো মঞ্চ ও পেন্ডেল।
মধ্যখান চারটি রাস্তা কার্পেটিং করা থাকবে। মাঠের পাশে থাকবে মেডিকেল ক্যাম্প।
সম্মলনের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে মাঠে থাকবে অত্যান্ত সু প্রশিক্ষিত, সু সৃংখল, কর্মঠ ও পরিশ্রমী ইউনিফর্মধারী নিজস্ব ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
মেহমান ও নেতৃবৃন্দের নিরাপত্বায় থাকবে ব্যতিক্রম ইউনিফর্ম ধারী অত্যন্ত সু ধক্ষ ও সু কৌশলী অতিরিক্ত ৩০ জন jsf জমিয়ত সিকিউরিটি ফোর্স সদস্য। সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে সাদা পোশাকে নিজস্ব দলীয় গোয়েন্দাবাহিনী।
শান্তি শৃংখলা রক্ষায় মাঠের পেছনে থাকবে আলাদা মনিটরিং সেল।
সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি স্মারক পকাশ হচ্ছে, যাতে দেশ বিদেশের জমিয়তের হাল অবস্থা ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সম্মেলনকে গিরে চতুর্দিকে চলছে সাঝ সাঝ রব। সিলেট বিভাগের এমন কোনো এলাকা নেই যেখান থেকে গাড়ি ভাড়া কর হয়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পোস্টার, ফেস্টুন আর তোরণ দ্বারা সিলেট বিভাগ নতুন সাজে সেজেছে।
সবার চোখ এখন আলিয়া মাদরাসা মাঠের দিকে। কান খাড়া মানুষ শুনতে চায় কী বাণী দেন ছদরে জমিয়ত আল্লামা ইমামবাড়ী, কি শপথ নেন আল্লামা হবিগঞ্জী, কি পরিক্পনা প্রকাশ করেন মুফক্কিরে ইসলাম শায়খ জিয়া, কী কমর্সুচি দেন আল্লামা কাসেমী, কী হুংকার আসে পাশা ও আফেন্দীর জোরালো কণ্ঠে?
লেখক: শিক্ষক ও জমিয়ত নেতা
মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে বরেণ্য দুই আলেমের বিদায়