রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

৪ মাদরাসার ৫১ শিক্ষার্থীর তাকমিল পরীক্ষা অনিশ্চিত!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

আল-হাইয়াতুল উলইয়ার অধীনে অনুষ্ঠিতব্য  এ বছরের কওমি মাদরাসার মাস্টার্স ক্লাস (তাকমীল) পরিক্ষা দিতে পারবে না চারটি মাদরাসার  ৫১ জন শিক্ষার্থী।

মাদরাগুলোর মধ্যে রয়েছে, সিলেটের জামেয়া হেমায়াতুল ইসলাম টাইটেল মাদরাসা, কিশোরগঞ্জের হযরত উম্মে হাবিবা রা. মহিলা মাদরাসা, খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদরাসা ও আছিয়া খাতুন মহিলা মাদরাসা।

জানা যায়, ইতোপূর্বে  মাদরাসা গুলোর শিক্ষার্থীরা বেফাকের অধীনে হাইয়াতুল উলইয়ায় পরীক্ষা দিলেও এ বছর সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ চলতি বছর মাদরাসাগুলো বেফাক থেকে বেরিয়ে বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়া (জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এ অন্তর্ভুক্ত হয়।

এ ব্যাপারে জামেয়া হেমায়াতুল ইসলাম টাইটেল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ মাওলানা মুহাম্মাদ শামসুল হক আওয়ার ইসলামকে জানান, কিছুদিন আগে হাইয়াতুল উলইয়া থেকে আমাদের নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়, বেফাক থেকে বের হয়ে অন্য বোর্ডে যাওয়ায় এখানকার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সুযোগ পাবে না।

 

অন্য তিনটি মাদরাসার সঙ্গে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ একই রকম কথা বলেন। তারা জানান, হাইয়াতুল উলইয়া নোটিশ পাঠিয়েছে এবং  উল্লেখ করেছে বোর্ড পরিবর্তন করার কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষ দিতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের এ তিন মাদরাসাও ইতোপূর্বে বেফাকের অধীনে ছিল। এ বছর বেফাক থেকে বেরিয়ে এসে বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়া (জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এ অন্তর্ভুক্ত হয়।

পরীক্ষা কেন দিতে পারবে না- এ বিষয়ে আল-হাইয়াতুল উলইয়ার বেফাক প্রতিনিধি এবং বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, তারা আইনের খেলাফ করেছে।

ইসলামি কিতাব, বয়ান ও মালফূযাতের অন্যন্য অ্যাপ

যে সব মাদরাসা আইনের খেলাফ করেছে, তাদের নোটিশ দিয়ে জানানো হয় তারা দাওরা হাদিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

তিনি জানান, বিগত পরীক্ষায় মাদরাসাগুলো যেই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছে এবারও তাদের সেই বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিতে হবে।  বোর্ড পরিবর্তন করা যাবে না। এরকম আইন রয়েছে।

৫১ শিক্ষার্থী এখনও যদি বেফাক থেকে পরীক্ষা দেয়, তারা পরীক্ষা দিতে পারবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে হাইয়াতুল উলইয়া কর্তৃপক্ষের কোন দায় থাকবে না বলেও জানান মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।

জোড় ও ইজতেমার বিষয়ে কাকরাইল শুরার নতুন সিদ্ধান্ত


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ