রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
ওমান এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি দেশ। পুরো নাম ওমান সালতানাত। ওমানের উত্তর-পশ্চিমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পশ্চিমে সৌদি আরব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ইয়েমেনের অবস্থান। দেশের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে রয়েছে আরব সাগর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ওমান উপসাগর।
মরুময় দেশের নাম ওমান। বালুর সমুদ্র সৈকত, সুউচ্চ পর্বতমালা দেশটির অন্যতম সৌন্দর্য। শতাব্দীকাল থেকে ওমান ভারত মহাসাগরীয় বাণিজ্যের একটি অন্যতম কেন্দ্র। ১৭শ’ থেকে ১৯শ’ শতক পর্যন্ত এটি একটি ঔপনিবেশিক শক্তি ছিল।
ওমানের রাজা সুলতান উপাধি ব্যবহার করেন। দেশটির সরকারি নাম ওমান সুলতানাত। টকসাঈদ ডাইন্যাস্টির ১৪তম উত্তরাধিকার সুলতান কাবুস-এর দেশ সালতানাত অব ওমান বলেই জানা হয় দেশটিকে। এই সুলতানাতের অধীনে দেশটিতে ইসলামি স্থাপত্য হয়েছে অনেক। সেসব স্থাপত্যের শৈল্পিক দিক পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে, মুগ্ধ করে প্রথম ঝলকেই।
ইউনেস্কো ওমানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সালাহ নগরী এবং বহু প্রাচীন নিদর্শন স্থল বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ইসলামি ঐতিহ্যেঘেরা ওমানের রাজধানী শহরের মাতরাহ ও মাস্কাটের মাঝামাঝি আল খুয়েইর মিনিস্ট্রিজ ডিস্ট্রিক্ট এ অবস্থিত আল জাওয়াবী মসজিদ।
এই মসজিদ বিশেষ কারণে এরই মধ্যে ইসলামি উম্মাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে তার হল এই মসজিদের অভ্যন্তর ভাগের দেয়ালে তাম্রপাত্রে খোদিত আছে পুরো ত্রিশ পারা কোরআন। এ পুণ্যতীর্থ দর্শনে দেশ-বিদেশ থেকে আসা মুসলমানরা মুগ্ধ নয়নে দেখেন এ নিদর্শন।
১৯৮৫ সালে আল খুয়েইর-এর জাওয়াবী পরিবার এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আবদুল মুনেইম আল জাওয়াবী এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। মসজিদের প্রবেশমুখে মর্মর প্রস্তরে
সুলতান কাবুসের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে ওমানের মুসলমানদের জন্য এটি জাওয়াবী পরিবারের উপহার। ভূমি থেকে ২৫-৩০ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে মসজিদটিতে উঠতে হয়। মসজিদের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে তিনটি সুউচ্চ প্রবেশদ্বার রয়েছে।
এর ভেতরের গম্বুজটি দেখতে একটি উল্টানো পদ্ম যেন। গম্বুজের ভেতরের অংশ প্রাচ্যের নক্সাদার স্টোনওয়ার্ক আর ২২ ক্যারেট স্বর্ণখচিত আরবী ক্যালিগ্রাফির আকর্ষণীয় কাজ আছে। গোলাপি রঙের মার্বেল পাথরে মসজিদের বহির্ভাগ নির্মিত। সব মিলিয়ে পর্য
প্রতিদিন মুসলিম বিশ্বের দর্শনার্থীদের ভীড়ে আল জাওয়াবী মসজিদের প্রান্তর মুখর থাকে ।