আওয়ার ইসলাম : ফিটকিরির ব্যবহার সাধারণত আমরা সেলুনেই দেখে থাকি। এটির ইংরেজি নাম এলাম। সাধারণত সেলুন দাড়ি কাটার পর এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। শরীরে কাটা ছেড়ায় রক্ত বন্ধের ক্ষেত্রেও এটির ব্যবহার অনেকেই জানেন। এছাড়াও আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনে ফিটকিরির নানা বিধি ব্যবহার রয়েছে।
জেনে নিন এই ফিটকিরির আজব ছয় গুণ-
১. হঠাৎ রক্ত : দাড়ি কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, সেলুনে এখনো ফিটকিরি ঘষে দেয়। যদি, গাল কাটাই নয়, যে কোনো আঘাতে রক্তপাত হলে, সেখানে ফিটকিরি চূর্ণ করে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বেরোনো বন্ধ হবে।
২. সর্বঘটের কাঁঠালি কলা : তা আপনি বলতেই পারেন। আগে তো বাড়ির মেয়েরা রূপচর্চা করতেও ফিটকিরি ব্যবহার করতেন। তার কারণ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। তা ছাড়া, যেহেতু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই দাঁতের রোগেও কিন্তু ফিটকিরি ভালো কাজ দেয়।
৩. টনসিলে আরাম : ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে বা গ্ল্যান্ড ফুললে, গরম জলে এক চিমটে নুন ও ফিটকিরি চূর্ণ মিশিয়ে, দিনে কয়েকবার গার্গেল করুন। স্বস্তি পাবেন।
৪. আঙুলে হাজা : অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারণে হাতে হাজা হলে, বা পায়ের পাতা ফুললে, নিশ্চিন্তে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো ফিটকিরি জলে ফেলে, জলটা ভালো করে গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, পা চুবিয়ে রাখুন। দুরন্ত আরাম পাবেন।
৫. ব্রণ-ফুসকুড়ি: মুখে ব্রণ-ফুসকুড়ি হচ্ছে? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফিটকিরি ঘষুন। বা ফিটকিরি চূর্ণ জলে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, কিছুক্ষণ পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছু দিন করলে, মুখে উজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রণ-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।
৬. দাঁতে যন্ত্রণা : দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বা মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? সব মাজনে চেষ্টা করেও, মুখের গন্ধ যাচ্ছে না? তাই কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না? আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে ফিটকিরি। গরম জলে ফিটকিরি গুলে নিয়ে, কুলকুচি করুন। আপনি দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না।