আওয়ার ইসলাম : তিউনেশিয়ার প্রাদেশিক রাজধানী কাইরোয়ান শহরে অবস্থিত সুউচ্চ এক মিনার বিশিষ্ট ১৩৪৬ বছরের প্রাচীন মসজিদ ‘মসজিদে ওকবা ইবনে নাফে। ৫০ হিজরির প্রাচীন ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলীর সুন্দর নির্দশন এ মসজিদ। এ স্থাপত্যশৈলীর কারণেই কাইরোয়ান শহরকে ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কোর ১২তম অধিবেশনে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন।
মসজিদের পরিচিতি
উমাইয়া শাসক হজরত আমির মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের সময়ে ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে ৫০ হিজরি সনে সেনাপতি ওকবা ইবনে নাফে এ শহরের ভিত্তি স্থাপন করেন।
শহরটির নাম কাইরোয়ান। এখানেই তিনি একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণ করেন। তাঁর নামানুসারেই মসজিদটির নামকরণ করা হয় ‘মসজিদে ওকবা ইবনে নাফে।’ এ শহরটি তিউনিশিয়ার একটি প্রাদেশিক রাজধানী।
২০০৯ সালে ওআইসি এ শহরটিকে ইসলামি সভ্যতার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন। আফ্রিকা মহাদেশের ইসলামি সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবেও অভিহিত করেন এ শহরকে।
সেনাপতি ওকবা ইবনে নাফে কর্তৃক ৬৭১ খ্রিস্টাব্দে মোতাবেক ৫১ হিজরিতে তৈরি করা এ মসজিদটি আজো কাইরোয়ান শহরের প্রধান মসজিদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তিনিই এ শহরে প্রথম সেনা ছাউনি স্থাপন করেন। আর ফার্সি কাইরোয়ান শব্দের অর্থ হলো সেনাছাউনি।
১৩৪৬ বছরের পুরোনো প্রাচীন এ মসজিদটির আয়তন ৯০০০ বর্গমিটার। মসজিদটি হিজরি ৫০ সনের মুসলিম স্থাপত্যের একটি নিদর্শনও বটে। অবশ্য পরবর্তী সময়ে মসজিদটি বেশ কয়েকবার পুণঃনির্মাণ করা হয়েছে।
উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক প্রাচীন স্থাপনা এ মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ৪০৫ মিটার বা ১৩২৮ফিট। মসজিদের বিশাল উন্মুক্ত চত্ত্বর মার্বেল পাথরে বাঁধানো।
মসজিদের সন্নিকটেই রয়েছে একটি গভীর নলকূফ। যা মসজিদের আশ-পাশের মানুষের পানির চাহিদা মেটানোর জন্যই স্থাপন করা হয়েছিল। এখনো বহু মানুষ এ গভীর নলকূপ থেকে পানি পানে তৃপ্ত হয়ে থাকেন। বর্তমানে এ প্রাদেশিক রাজধানী কাইরোয়ানের জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
তিউনিশিয়ার কাইরোয়ান শহরের এই মসজিদের মিনার থেকেই আফ্রিকা মহাদেশে সর্বপ্রথম আজানের ধ্বনি প্রচারিত হয়। এখান থেকেই তাওহিদের ঘোষণা আফ্রিকা মহাদেশের সবত্র ছড়িয়ে পড়ে। জাগো নিউজ।
[embed][/embed]