রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

যেভাবে দেওবন্দের সর্বপ্রথম মসজিদ তৈরি হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুবাইর হানীফ : দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ৫৩ বছর পর্যন্ত  দেওবন্দ প্রান্তরে কোন মাসজিদ ছিল না ৷ ছাত্ররা মহল্লার আশপাশের মাসজিদেগুলোতে নামায আদায় করত৷ পরিস্থিতির ব্যাপক চাহিদা ছিল, দারুল উলুমের ভেতরে মাদরাসার নিজস্ব মসজিদ হোক৷ কিন্তু, মাদরাসার অর্থশূন্যের কারণে  দীর্ঘ ৫৩ বছর পর্যন্ত  নিজস্ব মসজিদ নির্মাণ হয়নি দেওবন্দ প্রান্তরে।

অবশেষে ১৩২৫ হিজরিতে হাজী ফাসিহুদ্দীন মিরাঠী রহ.-এর আর্থিক সহযোগিতায় সদর গেইটের কাছে কিছু জমি কেনা হয় ৷ পরে ১৩২৭ হিজরিতে রান্দীর বড় ব্যবসায়ী হাজী গোলাম মুহাম্মদ আ'জম রহ. মসজিদ নির্মাণে ১৯ হাজার রূপি দান করেন ৷ওই বছরের ৪ রবিউল আওয়ালে মাসজিদের ভিত্তিস্থাপন করা হয় ৷

একঝাঁক আকাবিরে দেওবন্দের মুবারক হাত ধরে ছাত্রদের সামনে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন হয় ৷তারপর ছাত্ররা স্বানন্দে-স্বেচ্ছায় ইট, মাটি আনয়নের কাজ করতে লাগল৷ শুধু ইট আনা নয়, বলা যায় দেওয়ালের পুরো কাজ ছাত্ররাই সম্পাদন করে৷

শুধু তাই নয়! ছাত্রদের সাথে দারুল উলুমের সকল উস্তাদ, কর্মচারী খুবই আগ্রহ নিয়ে নিজেদের মাথায় ইট বহন করে মসজিদের কাজ করতে থাকেন।

হাকিম মাসউদ আহমদ খলিফায়ে গাঙ্গুহী রহ, মাওলানা আব্দুর রহিম রায়পুরী রহ. , সদরুল মুদাররিসীন শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ.,  মুহতামিম মাওলানা আহমদ সাহেব রহ. ও ছাত্রদের মতো ইট, কাঁদামাটি বহন করে, মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করেন৷

মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৩২৮ হিজরিতে শেষ হয়৷ নাম রাখা হয় “মসজিদে কদিম”। ১৩৪৯ হিজরিতে মসজিদটিতে আরো বেশ কিছু সংস্কারের কাজ করা হয় ৷ মসজিদের আঙ্গিনা বাড়ানো হয়৷

দু্ই তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের পূর্বদিকে বাহিরে দেয়ালটি পাথরে নির্মিত৷ যাতে মরমর পাথরে খচিত খুবই দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য করা হয়েছে৷ একটি সুউচ্চ মিনার মসজিদে কদিমের সৌন্দর্য  আরও দিগুণ করেছে৷

১৩৭৫ হিজরিতে আঙ্গিনার শেষের দিকে দারুল ইফতা ভবনের নিচে পাথরের হাউজ তৈরি করা হয় ৷
মরমর পাথরে মোড়ানো এই মসজিদদের ভেতরের আয়তন ৪২ বাই ৩৩ স্কয়ার ফিট এবং বাহিরের অংশের অায়তন ১১৮ বাই ৫০ ফিট। ১৯৮০ সালে শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এসব পরিবর্তন আনা হয় ৷

বর্তমানে দারুল উলুমের অধিকাংশ আকাবির এই মসজিদে নিয়মিত নামায আদায় করে থাকেন৷

লেখক : শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ
তথ্যসূত্র : মুখতাসার তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ