আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজন গত ১২ মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
বিস্ফোরক ওই প্রতিবেদন প্রকাশের ঠিক আগে আগে ইন্ডিপেনডেন্টে সেটির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে জোরজবরদস্তি ও হয়রানির ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে।
সম্প্রতি, ব্রিটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশোভন আচরণ, আপত্তিকরভাবে শরীরে হাত দেয়া ও ধর্ষণের অনেকগুলো অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
এসব অভিযোগের পর পার্লামেন্টের সদস্যরা একটি জরিপের নির্দেশ দেন। জরিপে পার্লামেন্টের সম্পত্তি ও স্থাপনায় কর্মরত সব ধরনের কর্মচারীকে যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক মহিলারা যৌন হয়রানির শিকার হন।
মাত্র দু'দিন আগে ব্রিটেনে মহিলাদের ভোটাধিকার আদায়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এর ঠিক পর পর সেখানকার পার্লামেন্টে যৌন হয়রানির কুৎসিত চিত্র প্রকাশ করলেন কমনস সদস্য অ্যান্ড্রিয়া লিডসম। তিনি ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণ দিতে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
ওই সংসদ সদস্যকে প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন এমন একটি সূত্র বলে, 'নতুন ব্যবস্থা কার্যকরী করতে হলে আমাদের সংস্কৃতি বা ধ্যানধারণা বদলাতে হবে। পার্লামেন্টে যারা কাজ করেন তারা যেন চাকরি হারানোর ভয় না করে অভিযোগ জানাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।'
সম্প্রতি হলিউডে প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভি উইন্সটাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। এরপরই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় 'মি টু' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজের যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা প্রকাশের আন্দোলন।
এই প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট থেকে যৌন হয়রানি নির্মূল করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কয়েকটি দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের নির্দেশ দেন।
ওই দলটি ১,৩৭৭ জনের উপর জরিপ চালায়। তারা দেখতে পান পার্লামেন্টের কর্মচারী, সংসদ সদস্য বা তাদের সমতুল্য ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯% কখনও না কখনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট/এটি