আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মাঠে কোনও কর্মসূচি থাকবে না আওয়ামী লীগের। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনেরও নেই কোনও রাজনৈতিক তৎপরতা।
তবে, দিনভর দলীয় কার্যালয়ে সতর্কভাবে অবস্থান করবেন ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে কোনও কর্মসূচি না দেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, রায়কে কেন্দ্র করে কোনও বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা কঠোর হস্তে দমন করবে
অন্যদিকে রায় ঘোষণার পর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বিএনপির পরবর্তী করণীয়। এমনটিই জানিয়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারণী-পর্যায়ের নেতারা। তারা বলছেন, রায়ে খালেদা জিয়া খালাস পেলে সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলবে। আর যদি সাজা হয়, তাহলে আইনগত ও রাজনৈতিক—উভয় পথেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে দলটি।
এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সাজা একবছরের কম হলে সংশ্লিষ্ট আদালতেই জামিনের আবেদন করার সুযোগ থাকবে বলে জানান বিএনপির আইনজীবীরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা নেত্রীর খালাসই প্রত্যাশা করছি। তবে রায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হলে আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’ বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সাজা একবছরের কম হলে এই কোর্টেই জামিন আবেদন করা হবে।’
অন্যদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে আওয়ামিী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন দলীয় কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে কোনো ধরনের উস্কানমূলক কিছু না করা হয়। তবে তিনি এও বলেছ্নে বিএনপি যদি রায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে প্রশাসন শক্তহাতে মোকাবিলা করবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রশাসনের পাশে থাকবে।
এসএস/