আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসামে কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নেই। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাফ জানালেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও ভাষাভিত্তিক বিভেদ সৃষ্টিরও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার চালাতে ত্রিপুরা আসেন তরুণ গগৈ। একই দিনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও ত্রিপুরায় আসেন বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে। সর্বানন্দ গত দেড় বছরে আসামের উন্নয়নের কথা বলে ত্রিপুরাকেও সেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়ার ডাক দেন। কংগ্রেসের টানা ১৫ বছরের শাসনের সঙ্গে তাঁর মাত্র দেড় বছরের শাসনকালের উদাহরণ টানেন তিনি।
কিন্তু সর্বানন্দের সব দাবিই উড়িয়ে দিয়ে আগরতলা কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে শুধু দুর্নীতি আর মানুষের মধ্যে বিভেদ বাধানোর অভিযোগ তোলেন তরুণ গগৈ। তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপি শুধু মিথ্যা কথাই বলতে জানে। আমাদের আমলে কুৎসা রটিয়ে বলেছিল, আমি নাকি বাংলাদেশিদের লাল কার্পেট পেতে আসামে নিয়ে এসেছি। কই, ওরা তো দেড় বছর ধরে আছে। একজন বাংলাদেশিকেও শনাক্ত করতে পারল না কেন?’
বহুচর্চিত আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ (এনআরসি) নিয়েও বিজেপি সরকারকে বিঁধেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। গগৈয়ের দাবি, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিয়েই মানুষ ভোটার তালিকায় নাম তোলেন। তাই ভোটার তালিকায় নাম থাকা সবাইকে এবং তাঁদের আত্মীয়দের নাম রাখতে হবে এনআরসিতে। এ প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই বাংলাদেশি-বাংলাদেশি আওয়াজ তুলছে বিজেপি। ধর্মের ভিত্তিতে, জাতপাতের ভিত্তিতে শুধু অশান্তি চায় ওরা। নাগাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। আসমে বোরো উপজাতিদের সঙ্গেও বেইমানি করেছে বিজেপি।’ বিজেপি সম্পর্কে ত্রিপুরাবাসীকে সতর্ক করে দেন তিনি।
তবে এনআরসি নিয়ে তরুণ গগৈয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বিজেপি সদর দপ্তরে পৃথক এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। সব নাগরিককেই এনআরসি দেওয়া হবে। আসামের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ প্রশ্নেও নীরব থাকেন হিমন্ত। বরং সর্বানন্দ এদিন এক নির্বাচনী সভায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র উত্তর পূর্ব ভারত ও আসিয়ান দেশগুলোর বিকাশের কথাই বলেন।