আওয়ার ইসলাম : রংপুর মহানগরীর টার্মিনাল বানিয়াপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় না যাওয়া রংপুর জেলার ২ লাখেরও বেশী মুসল্লি এতে অংশ নিবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইতোমধ্যে ইজতেমা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমায় বয়ান করতে ইতোমধ্যে সৌদি আরব, চীন, মরক্কো ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলিগের মুরব্বিরা রংপুরের তাবলিগ মারকাজে মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন। জেলা ইজতেমাকে নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা ছাড়াও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তাবলিগ জামায়াতের স্থানীয় সংগঠক শামীমুজ্জামান শামীম জানান, বিশ্ব ইজতেমার নিয়মানুযায়ী যে ৩২ জেলা এবার বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়নি, তারা নিজ জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করবেন। ২০১০ সাল থেকে রংপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার রংপুরে চতুর্থবারের মতো ইজতেমা হচ্ছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এই ইজতেমা চলবে।
ইজতেমা আয়োজকদের মুরব্বি আহসান হাবীব জানান, ইজতেমায় বয়ান করতে ইতিমধ্যে সৌদি আরব ও চীন থেকে ৯ জন করে এবং মরক্কো থেকে আটজনসহ রাজধানীর কাকরাইল থেকে বিশিষ্ট আলেমরা এসেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের সেবায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া দূরের মুসল্লিদের পরিবহন রাখার জন্য গ্যারেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নির্মিত প্যান্ডেলের ভেতর একসঙ্গে ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। মাঠের আশপাশে শতাধিক খাবারের দোকান বসানো হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে ৯৬০টি বাথরুমের।
ইজতেমা মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুতের লাইন ছাড়াও শতাধিক জেনারেটর বসানো হয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য সার্বক্ষণিক অর্ধ শতাধিক মেডিক্যাল টিম কাজ করবে মাঠে। তিনি আরো জানান, এই ইজতেমা শেষে এখান থেকে সাত হাজার মুসল্লি ৫০০টি দলে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাবেন।
এদিকে, কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া জানান, ইজতেমায় নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ইজতেমা মাঠে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ জানান, মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠে নিরাপদে যাওয়া, সেখানে থাকা এবং ফিরে যাওয়ার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠের একটি স্কেচ ম্যাপ সংশ্লিষ্ট সবার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাপ অনুসরণ করে মুসল্লিরা নিজ নিজ উপজেলায় যেতে পারবেন।